সোলারির নেতৃত্বে রিয়ালের ঝুলিতে বড় জয়

প্লজেনকে উড়িয়ে দেওয়ার দিন করেছিলেন জোড়া গোল। সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে গোল পেয়েছেন, মাঠেও ছিলেন দুর্দান্ত। বেনজেমার উল্লাস তো এমনই হবে। ছবি: এএফপি
প্লজেনকে উড়িয়ে দেওয়ার দিন করেছিলেন জোড়া গোল। সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে গোল পেয়েছেন, মাঠেও ছিলেন দুর্দান্ত। বেনজেমার উল্লাস তো এমনই হবে। ছবি: এএফপি
>লা লিগায় সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ২-৪ গোলের জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের হয়ে গোল করেছেন বেনজেমা, রামোস ও সেবাল্লোস। সেল্টা ভিগোর হয়ে একটি করে গোল করেন হুগো মাল্লো ও মেনডেজ।

‘৪’। লা লিগায় রোববার রাতে সংখ্যাটির কদর কি খানিকটা বেড়ে গেছে? গেছে হয়তো! ন্যু ক্যাম্পে নিজেদের মাঠে বার্সার ৪ গোল হজমের রাতে রিয়াল কেন প্রতিপক্ষের জালে ৪ গোলই দেবে? আরও আছে—এল ক্লাসিকোতে ৫-১ গোলের ব্যবধানে হারের পর তো চাকরিটাই হারালেন রিয়াল কোচ লোপেতেগি। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে সান্তিয়াগো সোলারি দায়িত্ব নেওয়ার পর সব মিলে এ নিয়ে টানা ৪ ম্যাচ জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। কত মিল, তাই না? এসব মিল-অমিল নিয়ে তর্ক হতে পারে। আপাতত তর্ক-বিতর্ক না হয় তোলা থাক অন্য কোনো সময়ের জন্য। এখন বরং রিয়াল-সেল্টা ভিগোর ম্যাচেই চোখ রাখা যাক।

ম্যাচের শুরুতেই গোলের সুযোগ পায় রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় মিনিটে বেনজেমার শট আটকে দেন সেল্টার গোলরক্ষক। এরপর আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণে খেলা চললেও মডরিচ ও বেনজেমার সমন্বিত আক্রমণে গোল পায় রিয়াল। ২৩তম মিনিটে রিয়ালের ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার মডরিচের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ে এগিয়ে যান বেনজেমা। ফরাসি এই ফরোয়ার্ডের শটে বল জালে জড়ালে এগিয়ে যান বেনজেমা-বেলরা। প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই আর গোলমুখ খুলতে পারেনি। খেলা শেষ হয় ১-০ স্কোরলাইনেই।

দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে থাকা সেল্টা ভিগো উল্টো গোল হজম করে বসে। তাও আবার আত্মঘাতী গোলে! সেল্টার দুর্বল রক্ষণে বল পান বেনজেমা। তাঁর শট প্রথম চেষ্টায় আটকে দিয়েছিলেন সেল্টার গোলরক্ষক। কিন্তু গোলপোস্টে বল লেগে ডিফেন্ডার কাবরালের গায়ে লেগে জালে জড়ালে ব্যবধান দ্বিগুণ হয় রিয়ালের। তবে ম্যাচে ফিরতে দেরি করেনি স্বাগতিকেরা। ৬১ মিনিটে হুগো মাল্লোর দূরপাল্লার শটে গোল পায় সেল্টা। খানিক পরে আবারও গোল দিয়ে সমতায় ফেরার সুযোগ পায় সেল্টা। তখন আসপাসের শট আটকে দেন রিয়াল গোলরক্ষক কোর্তোয়া। রক্ষা পায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা।


ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে সেল্টার ডি বক্সে ফাউলের শিকার হন অড্রিওজোলা। স্পট কিক থেকে বল জালে জড়ান রিয়াল অধিনায়ক রামোস। মিনিট পাঁচেক পর সেল্টার কাবরাল দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা। ১০ জনের দল নিয়ে যোগ হওয়া সময়ে চার নম্বর গোলটি হজম করে সেল্টা। রিয়ালের হয়ে সেল্টার কফিনে চার নম্বর পেরেকটি ঠোকেন সেবাল্লোস। শেষ বাঁশি বাজানোর আগে মেনডেজের গোল ব্যবধান কমায় সেল্টা।


তাঁর অধীনে অথই সাগরে খাবি খাওয়া রিয়াল এ নিয়ে টানা ৪ ম্যাচ জিতল। চ্যাম্পিয়নস লিগে প্লজনকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর লা লিগায় সেল্টা ভিগোর বিপক্ষেও ৪-২ গোলের জয়। সোলারি নিজের জায়গাটা পাকা করার দাবি করতেই পারেন! রিয়াল–সমর্থকেরাও বলতে পারেন, এমন রিয়ালই তো চাই।