মেইল ফাঁস, কোহলিই বিদায় করেছিলেন কুম্বলেকে!

কোহলি-কুম্বলের পথ আলাদা হয়েছে গত বছর। ফাইল ছবি
কোহলি-কুম্বলের পথ আলাদা হয়েছে গত বছর। ফাইল ছবি
>বিসিসিআই কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরসের সদস্য ডায়না এডুলজির পাঠানো এক মেইল ফাঁস হয়েছে। সেই মেইলে গত বছর কোচ পদ থেকে অনিল কুম্বলের সরে দাঁড়ানোয় কোহলির হাত ছিল বলে উল্লেখ করেছেন এডুলজি

আগুনটা পুরোনো হলেও ধিকি ধিকি জ্বলে ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। গত বছরের জুনে ভারতীয় দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন অনিল কুম্বলে। এর পেছনে কি বিরাট কোহলির হাত ছিল? তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে কুম্বলে তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন, ‘বোর্ড কোচ ও অধিনায়কের মধ্যকার ভুল-বোঝাবুঝি মেটানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এটি আর হওয়ার নয়।’

ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে বিতর্কিত সেই ঘটনা নতুন করে সামনে নিয়ে এলেন বিসিসিআই কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস (সিওএ) সদস্য ডায়না এডুলজি। সিওএর আরেক সদস্য বিনোদ রাইকে পাঠানো এক মেইলে এডুলজি বলেছেন, কুম্বলের জায়গায় শাস্ত্রীকে হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিসিসিআই ‘নিয়ম ভেঙেছে’। এ ছাড়াও কুম্বলে হেড কোচ থাকতে তাঁর ব্যাপারে প্রতিনিয়ত খুদে বার্তা পাঠিয়ে বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরির কান ভারী করেছেন কোহলি, আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন কুম্বলে।

বিনোদ রাইকে পাঠানো সেই মেইলে কোহলি-কুম্বলের ঘটনাটি উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করেছেন এডুলজি। ভারতের মেয়েদের জাতীয় দলের হেড কোচ নিয়োগে অ্যাডহক কমিটি নিয়োগ দেওয়া হবে কি না, এ নিয়ে বিনোদ রাইয়ের সঙ্গে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি চলছে এডুলজির। বিনোদ রাইয়ের মতে, খেলোয়াড়েরা ভোটের মাধ্যমে দলের কোচিং স্টাফ বেছে নিতে পারেন না। তখন মেইলে পাল্টা যুক্তি হিসেবে কোহলি-কুম্বলের সেই ঘটনা উল্লেখ করেন এডুলজি। ফাঁস হওয়া এই মেইল পেয়েছে ‘ক্রিকইনফো’।

এডুলজি সেই মেইলে বলেছেন, ‘ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির (সিএসি) সমর্থন সত্ত্বেও বিরাট কুম্বলেকে চালিয়ে যেতে দেয়নি। তাহলে এ দুজন (মেয়েদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হারমনপ্রীত কাউর ও সহ–অধিনায়ক স্মৃতি মান্দানা) খেলোয়াড় দলের ভালোর জন্য যা চাচ্ছে, তা দেওয়া হবে না কেন?’

ভারতীয় মেয়েদের জাতীয় দলের বর্তমান কোচ রমেশ পাওয়ার। হারমনপ্রীত কাউর ও স্মৃতি মান্দানা বিসিসিআই এবং কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরসকে অনুরোধ করেছেন পাওয়ারই যেন দলের কোচ থাকেন। এর আগে কোচ পাওয়ারের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিরোধে জড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিসিসিআইকে মেইল করেছিলেন মেয়েদের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মিতালি রাজ।

ভারতীয় মেয়েদের দলের সাবেক অধিনায়ক এডুলজি দুই সিনিয়র খেলোয়াড়ের পক্ষ নিয়ে মেইলে আরও লেখেন, ‘তারা নিজেদের মতামত জানানোর ব্যাপারে সত্য বলেছে। বিরাটের মতো না যে প্রতিনিয়ত সিইও-কে খুদে বার্তা পাঠিয়েছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবর্তনও হয়েছে। কুম্বলেকে খলনায়ক বানানো হয়েছে এবং সরে দাঁড়ানোয় আমি তাঁকে সম্মান করি। তখন নিয়ম ভাঙা হয়েছিল এবং এ নিয়ে আমি প্রতিবাদও করেছিলাম।’