ব্যাটসম্যানদের গতি সামলানোর পরামর্শ দিলেন অধিনায়কেরা

এভাবেই প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ছবি: এএফপি
এভাবেই প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ছবি: এএফপি
>নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের পেসারদের সামনে অসহায় লেগেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। কাল সিরিজে ফেরার ম্যাচে দুর্দান্ত কিছু করতে হলে কী করতে হবে, সেটিই বললেন বাংলাদেশের সাবেক দুই অধিনায়ক আমিনুল ও হাবিবুল।

অমর একুশে বইমেলায় আজ গিজগিজে ভিড়। এ ভিড়ের মধ্যেই বইমেলায় এলেন আমিনুল ইসলাম আর হাবিবুল বাশার । খানিক পরে এলেন জাভেদ ওমর ও ক্রীড়া সংগঠক আহমেদ সাজ্জাদুল আলমও। আমিনুল অনেক দিন হলো অস্ট্রেলিয়া-প্রবাসী। তিন দিনের ছুটিতে এসেছেন ঢাকায়। কাল সকালে চলে যাবেন ব্যাংকক, সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ায়। আর হাবিবুলের আজ ছুটি। বইমেলায় তাঁদের আগমন ক্রীড়া সাংবাদিক রানা আব্বাসের ‘বাংলাদেশের অধিনায়ক’ বইয়ের পাঠকদের সঙ্গে কিছু সময় কাটানো।

‘বাংলাদেশের অধিনায়ক’ বইয়ের পরিবেশক ঐতিহ্য-এর প্যাভিলিয়নটা মুহূর্তেই পরিণত হলো ক্রিকেট ব্যক্তিত্বদের মিলনমেলায়। অটোগ্রাফ, ছবি-সেলফি তুলে সময়টা তাঁদের ভালোই কাটছিল। বই ছাপিয়ে হঠাৎ আমিনুল-হাবিবুলের সামনে চলে এল নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স-প্রসঙ্গ। নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা খাবি খেয়েছেন কিউই পেসারদের সামনে।

নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে তাদের পেসাররা যে তাদের কঠিন পরীক্ষা নেবেন, সেটা তো জানাই। তবুও বাংলাদেশ যে প্রথম ম্যাচে হাবুডুবু খেয়েছে সেটির পেছনে প্রস্তুতির ঘাটতি বড় করে দেখছেন আমিনুল। যেহেতু একটা ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে, পরের ওয়ানডেতে প্রস্তুতির ঘাটতিকে আর বড় করে দেখার সুযোগ নেই। আমিনুল মনে করেন দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কিউই পেসারদের সামলাতে টেকনিকে বদল আনতে হবে তামিম-মুশফিকদের, ‘পরীক্ষার আগের দিন তো আর নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে প্রথম ম্যাচে প্রস্তুতির ঘাটতিটা স্পষ্ট। অন্তত ৮-১০ দিন সময় পেলে ওদের সামলানোর উপায় বের করা যেত। বোল্ট-হেনরির মতো ফাস্ট বোলাররা গতির সঙ্গে সুইং করায়। কিন্তু আমাদের ক্রিকেটাররা পেশাদার, তাদের দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার কথা। এখন গতির সঙ্গে পেরে উঠতে টেকনিকে বদল আনাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। গতিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটি নিয়েই বেশি ভাবতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।’

হাবিবুলের কথায় আমিনুলেরই প্রতিধ্বনি। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের সাবেক এ অধিনায়ক ও বর্তমানে নির্বাচক মনে করিয়ে দিলেন গত ডিসেম্বরে সিলেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির কথা। যেটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলারদের শর্ট বল অহেতুক সামনে এসে পুল করতে গিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। যেটি নিয়ে অনেক হইচই হলো তখন। মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলারদের গতিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত খেলে সমতায় ফিরলেন।

হাবিবুলের পরামর্শ, এবারও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একই সূত্র কাজে লাগিয়ে এগোতে হবে, ‘পেসকে কাজে লাগাতে হবে, আর কিছু না। ওদের গতিকে কাজে লাগিয়েই ব্যাটিং করতে হবে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের এটা অজানাও নয়। তারা সেটা জানে বলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। এটা নিয়ে এটা আতঙ্কিত বা এত আলোচনা হওয়াও ঠিক না। ফার্গুসন ধারাবাহিক জোরে বোলিং করে। যদি ভাবতেই হয় ট্রেন্ট বোল্টকে নিয়ে ভাবতে হবে। সে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতির বলও সুইং করায়। ওকে একটু সাবধানে খেলতে হবে।’