ব্রাদার্সকে গোলের মালা পরাল আবাহনী

ফরোয়ার্ডরা আজ আবাহনীকে উল্লাসের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন বারবার। ছবি: প্রথম আলো
ফরোয়ার্ডরা আজ আবাহনীকে উল্লাসের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন বারবার। ছবি: প্রথম আলো
>প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আবাহনী লিমিটেড।

প্রথমার্ধের ৩ গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র এক গোল। আবাহনী লিমিটেডের সামনে একেবারে উড়ে যেতে হলো না , এটাই হয়তো সন্তুষ্টি ব্রাদার্সের!

আবাহনীর ৪-০ গোলের জয়ে যতটা না বড় কৃতিত্ব ‘আবাহনীর’, এর চেয়ে বেশি দায় ব্রাদার্সের। গোপীবাগের দলে রক্ষণভাগ থেকে আক্রমণভাগে এমন একজন নেই, যার ওপর রাখা যায় আস্থা। রক্ষণভাগ বালির বাঁধের মতো, মাঝমাঠে নেই প্রতিপক্ষকে থামিয়ে দেওয়ার মতো কোনো খেলোয়াড়। আর আক্রমণভাগ 'এই ভালো, এই খারাপ।' না হলে কি আর এক হালি গোল দেওয়ার পরও আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোসের কণ্ঠে হতাশা, ‘কম পক্ষে আরও একটি গোল হওয়া উচিত ছিল। আমাদের খেলাও খুব ভালো হয়নি।’

লেমোসের কথা ধার নিয়ে বললে আবাহনীর নামের পাশে গোলের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। ম্যাচে জোড়া গোল করা হাইতির স্ট্রাইকার কেভিন বেলফোর্টের নামের পাশে থাকতে পারত হ্যাটট্রিক। মোটা দাগে দুইটি কারণে হ্যাটট্রিক হাতছাড়া কোপা আমেরিকা খেলা ফুটবলারের। প্রথমত, দুর্দান্ত একটি শট ক্রসবারে লেগে ফিরে এসেছে। দ্বিতীয়ত হতে পারেননি স্বার্থপর। বক্সের ওপরে নিজে ফাঁকা হওয়া স্বত্বেও জীবন ও সোহেলকে গোলের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছিলেন বেলফোর্ট। দেখে স্ট্রাইকারদের ব্যাপারে অলিখিত একটা কথা মনে পড়ছিল, ‘স্ট্রাইকারদের কখনো কখনো হতে হয় স্বার্থপর।’

১১ মিনিটে আবাহনীর প্রথম গোলটি আত্মঘাতী। ওয়ালী ফয়সালের ক্রসে সানডে চিজোবার হেড গোলরক্ষক সুজন চৌধুরী সেভ করলে ডিফেন্ডার উত্তম বড়ুয়ার পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। সাত মিনিট পর রায়হানের থ্রো ইনে আনমার্কড বেলফোর্টের হেডে ব্যবধান ২-০।

সুযোগ পেয়েছিল ব্রার্দাসও। কিন্তু ৩৪ মিনিটে ব্রাদার্সের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড লিওনার্দো লিমার শট গোললাইন থেকে ফেরান আবাহনীর ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা। উল্টো বিরতিতে যাওয়ার আগে ৩-০। এবার দৃশ্যপটে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে চিজোবা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে নাবীব নেওয়াজ জীবনের শট সুজন সেভ করলে ফলোআপে দৌড়ে এসে নিখুঁত প্লেসিংয়ে ৩-০।

৫৭ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে জোরালো শটে ব্যবধান ৪-০ করেছেন বেলফোর্ট। ৮০ মিনিটেই তাঁর নামের পাশে বসতে পারত হ্যাটট্রিক। পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে আসা গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করেছিলেন। কিন্তু ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। ৪ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ব্রাদার্স হয়ে পড়ে আরও অসহায়। ব্যবধান কমানো তো দূরের কথা, মাথা তুলে তাকাতেই পারেনি গোপীবাগের দল!

সাত ম্যাচে ছয় জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী এখন শীর্ষে। বসুন্ধরা পাঁচ ম্যাচে পাঁচটিতে জিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। আর ছয় ম্যাচ শেষে ব্রাদার্সের পয়েন্ট মাত্র ৩।