জিতেও খুশি নন কোচ

জয় পেলেও সন্তুষ্ট নন কোচ। ছবি: শামসুল হক
জয় পেলেও সন্তুষ্ট নন কোচ। ছবি: শামসুল হক
বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ২-০ গোলের জয়ে সন্তুষ্ট নন কোচ


আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রবেশ করে তবু যে কেউ দ্বিধায় ভুগতে বাধ্য, জয় পেল কে? কারণ, দুই কোচের বিপরীতমুখী চেহারা। হেরেও একগাল হাসিমুখে দুলকি চালে সংবাদ সম্মেলনে কথায় মাতিয়েছেন আমিরাতের কোচ হুরাইরা আল তাহেরি। ওদিকে জিতেও গোমড়ামুখে প্রায় ১৫ মিনিট অস্বস্তিকর নানা প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানিকে।

দুই কোচের চেহারা বিপরীতমুখী হবে, সেটা অনুমেয়ই ছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২-০ গোলের হার আমিরাত কোচের কাছে প্রায় জয়ের সমান। মেয়েদের বয়সভিত্তিক ফুটবলে তিন ম্যাচের সব কটিতেই বড় ব্যবধানে হেরেছে আরব দেশটি। গত বছর সেপ্টেম্বরে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের কাছে ৭ গোল হজম করেছিল আমিরাত। সে দলের সঙ্গে আরও চারজন যোগ করে অনূর্ধ্ব-১৯ দল নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন একই কোচ হুরাইরা।

বয়সের কোঠা তিন বাড়লেও প্রায় আট মাসের ব্যবধানে গোল কমেছে ৫টি। কোচের মুখে তাই তাঁর খেলোয়াড়দের ভূয়সী প্রশংসা, ‘আমি খেলাটা বেশ উপভোগ করেছি। আমরা জানি বাংলাদেশ ভালো দল। তাদের বিপক্ষে আমরা জিততে পারিনি। কিন্তু লড়াই করেছি। আমার মেয়েরা অনেক উন্নতি করেছে। আমি এতেই খুশি।’

স্বাগতিক কোচ গোলাম রব্বানিকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, জয় পেলেও কোচ হিসেবে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। জয়ের পরও অনেক ‘না’র জবাব। দল কেন ভালো খেলতে পারল না, এত গোল মিস হওয়ার কারণ কী? ঘুরে ফিরে প্রশ্নগুলো উঠল বারবার।

জয়ের স্বস্তিও কোচের হতাশা লুকাতে পারেনি, ‘আমাদের জয়ের লক্ষ্য ছিল, আমরা জয় পেয়েছি। দর্শকেরা খেলা উপভোগ করেছে। কিন্তু অনেক গোল মিস হয়েছে। স্বপ্নার (প্রথম গোলদাতা) হ্যাটট্রিক হওয়া উচিত ছিল। গোলরক্ষককে দুবার একা পেয়েও গোল করতে পারেনি। তবে আমি হতাশ নয়। পরবর্তী ম্যাচ নিয়ে কাজ করতে হবে।’

গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে কিরগিজস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ মাঠে নামবে ২৬ এপ্রিল।