পাকিস্তান দল থেকে বাদ পড়ে যা করলেন জুনায়েদ

বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ে অভিনব প্রতিবাদ জুনায়েদ খানের
এভাবেই প্রতিবাদ জানালেন জুনায়েদ। ছবি: টুইটার
এভাবেই প্রতিবাদ জানালেন জুনায়েদ। ছবি: টুইটার

ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ খেলার স্বপ্ন সবাই দেখেন। টানা দুই বিশ্বকাপ না খেলা মোহাম্মদ আমির টানা তৃতীয় বিশ্বকাপে দর্শক বনতে বসেছিলেন। আজ হুট করে আবার বিশ্বকাপ দলে ঢুকে পড়েছেন, পূরণ হয়েছে তাঁর স্বপ্ন। কিন্তু আমিরের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে জুনায়েদের স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচক কমিটি।

আমিরকে বিশ্বকাপের আগে শেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ইংল্যান্ড সিরিজে। কিন্তু বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া প্রথম ম্যাচে বল করার সুযোগ পাননি আমির। এরপর থেকে জলবসন্তে আক্রান্ত। তবু পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছিল, বিশ্বকাপ দলে আমিরকে সুযোগ দেওয়া হবে। আজ সেটাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের কোনো পেসারই ভালো করেননি। ১০ ওভারের কোটা পূরণ করে ৮০–এর নিচে রান দিতে দেখা যাচ্ছে না কাউকেই। নিজের শেষ ওয়ানডেতেই ৮৫ রান দিয়েছেন জুনায়েদ খান। ভাবা হচ্ছে দুই ওয়ানডেতেই ওভারপ্রতি ৭–এর বেশি রান দিয়ে নির্বাচকদের আস্থা হারিয়েছেন জুনায়েদ। পাকিস্তানি এই বাঁহাতি পেসার অবশ্য বাদ পড়ার সিদ্ধান্ত সহজে মেনে নেননি। টুইটারে নিজের একটি ছবি প্রকাশ করেছেন। সেখানে নিজের মুখে কালো টেপ লাগিয়ে দিয়েছেন জুনায়েদ।

ব্যাটসম্যান আবিদ আলীর সঙ্গে জুনায়েদ ও ফাহিম আশরাফও বাদ পড়েছেন। জুনায়েদ ও ফাহিমের জায়গায় দুই বাঁহাতি আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ সুযোগ পেয়েছেন। এর মাঝে আমির গত ১০ ওয়ানডেতে মাত্র ২ উইকেট পেয়েছেন। আর ওয়াহাব তো গত দুই বছরে ওয়ানডেই খেলেননি। মিকি আর্থার নিজেই ওয়াহাবের সমালোচনায় বলেছেন, ‘বহু বছর ধরেই দলকে কোনো ম্যাচ জেতাতে পারেনি।’ এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর জুনায়েদ আর নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি। টুইটারে টেপ লাগানো সে ছবির সঙ্গে লিখে দিয়েছেন, ‘আমি কিছু বলতে চাই না। সত্য অনেক তেতো হয়।’

টুইটারে জুনায়েদের এমন পোস্টে পাকিস্তানের সমর্থকেরা সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। ওয়াহাব রিয়াজের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সবাই। অনেকেই বিশ্বকাপের দলে ওয়াহাব ও আমিরের অন্তর্ভুক্তিকে নির্বাচকদের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি হিসেবেই দেখছেন।