ফাইনালের আগেই আফগানদের হারাতে চান সাকিব

দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট সাকিব আল হাসান। বোলারদের ভূয়সী প্রশংসাই করলেন তিনি। ছবি: প্রথম আলো
দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট সাকিব আল হাসান। বোলারদের ভূয়সী প্রশংসাই করলেন তিনি। ছবি: প্রথম আলো

টসের সময়ও সাকিব আল হাসানের মুখে পরিচিত হাসিটা ছিল না। খেলা শেষে হাসি ফুটল বাংলাদেশ অধিনায়কের মুখে। সে হাসি স্বাভাবিক, যেন এমন কিছুই তো হওয়ার কথা ছিল! ত্রিদেশীয় সিরিজে আগের দুই ম্যাচের একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এ দুটি ম্যাচের একটিতেও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি দল। আজ জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হওয়ার আগে অধিনায়ক সাকিবের মুখে তাই হাসি ফোটেনি। কিন্তু জয় তুলে নেওয়ার পর হাসি ফুটেছে, কারণ দল প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দেখানোর পথে ফিরেছে।

সেটি ফাইনালে ওঠার জন্য না, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যেমন জয় প্রত্যাশিত চট্টগ্রামে তেমন কিছুই করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ১৭৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই পিছিয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে। বলা ভালো, শুরুতেই ছিটকে পড়েছে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারেই ৫৬ রান তুলতে ৬ উইকেট হারায় দলটি। তাতে পুরো অবদানই বোলারদের। ফিল্ডাররাও ছিলেন ক্ষিপ্র। সাকিব তাই আপাতত সন্তুষ্ট। তবে বাংলাদেশের ইনিংস শেষে কিছুটা চিন্তা ভর করেছিল সাকিবের মনে। শেষ পাঁচ ওভারে যে দল সেভাবে রান তুলতে পারেনি। এ সময় ৪ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছে ৪১ রান। শেষ রানটা জয়ের জন্য পর্যাপ্ত হলো তো? অধিনায়কের মন থেকে এ প্রশ্ন দূর করেছেন দলের বোলাররা।

সাকিব তাই বোলারদের প্রাপ্য কৃতিত্বই দিলেন। ম্যাচ শেষে বললেন, ‘ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পেয়েছিলাম। কিন্তু প্রত্যাশামতো শেষ করতে পারিনি। তবে বোলাররা দুর্দান্ত ছিল, ফিল্ডাররাও।’ ভালো ফিল্ডিং বোলারদের কীভাবে সহায়তা করেছে তার ব্যাখ্যাও দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘এটা (ফিল্ডিং) পাঁচ বোলারকেই সহায়তা করেছে কারণ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বোলারদের ম্যাচ জেতাতে খুব বেশি দেখা যায় না।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। ফাইনালে রশিদ খানের দলেরই মুখোমুখি হতে হবে সাকিবদের। তার আগে গ্রুপপর্বে লড়াইয়ে আফগানদের হারাতে পারাটা হবে মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে এগিয়ে যাওয়া। সাকিব তা ভালোভাবেই জানেন, তাই জয়ের সুরই ঝরল তাঁর কণ্ঠে, ‘পরের ম্যাচটা জিততে পারলে ফাইনালে যাওয়ার আগে তা মানসিকভাবে আমাদের এগিয়ে দেবে। টি-টোয়েন্টিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।’

আফগানদের বিপক্ষে আগের ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। তার আগে হারতে হয়েছে টেস্টেও। ঘা-টা তাই এখনো দগদগে। দল যেহেতু ফাইনালে উঠে চনমনে মেজাজে আছে তাই ঘা যতটুকু সম্ভব শুকিয়ে নেওয়ার এটাই মোক্ষম সময়—সাকিব কিন্তু তা ভালোই জানেন।