১৬ শ কোটি টাকার খেলোয়াড় বিক্রি করতে হবে বার্সেলোনাকে

গ্রিজম্যানকে কেনায় আর্থিকভাবে বেশ বিপাকে পড়েছে বার্সেলোনা। ছবি: এএফপি
গ্রিজম্যানকে কেনায় আর্থিকভাবে বেশ বিপাকে পড়েছে বার্সেলোনা। ছবি: এএফপি

নেইমারকে কেনার জন্য এ দলবদলের দুই মাস ব্যয় করেছে বার্সেলোনা। প্রায় ২০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে নেইমারকে আনতে হতো বার্সেলোনাকে। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে দলে টানতে পারলে অবশ্য বিপদে পড়তে হতো ক্লাবের বাণিজ্য বিভাগের লোকজনদের। এ পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে জোগাড় করত বার্সেলোনা?

২০১৯/২০ মৌসুমের বাজেট জানিয়েছে বার্সেলোনা। নতুন মৌসুমে ১ হাজার ৪৭ মিলিয়ন ইউরোর বাজেট দিয়েছে বার্সেলোনা। খেলাধুলার দুনিয়ায় কোনো ক্লাব এত বড় বাজেট কখনো দেয়নি। এত বিশাল বাজেটেও লাভের পরিমাণটা বেশ অল্প হবে, ১৪ মিলিয়ন ইউরো। এই বাজেটের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক, এর মাঝে ক্লাবের দেনা ২১৭ মিলিয়ন ইউরো। ক্লাবের আয় ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে চাইলে এ মৌসুমে বার্সেলোনাকে ১৭২ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মূল্যমানে ১৬ শ কোটি টাকা) আয় করতে হবে খেলোয়াড় বিক্রি করে।

গত মৌসুমেও বার্সেলোনা ১৪৫ মিলিয়ন ইউরো খেলোয়াড় বিক্রি করার লক্ষ্য নিয়েছিল। ১৩১ মিলিয়ন ইউরোর খেলোয়াড় ক্রয়ের বিপরীতে ১৪ মিলিয়ন ইউরো আয় করার লক্ষ্যে সে লক্ষ্য বেঁধেছিল বার্সেলোনা। এ মৌসুমে আঁতোয়ান গ্রিজম্যানকে ১২০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে কেনার ফলে লক্ষ্যটা যে বাড়বে সেটা জানা ছিল। তাই ১৪ মিলিয়ন আয় দেখাতে হলে খেলোয়াড় বিক্রি করে ১৭২ মিলিয়ন ইউরো আয় করতে হবে বার্সেলোনাকে।

বার্সেলোনার জন্য একটি সুবিধা হলো। এর মাঝেই ৬০ মিলিয়ন ইউরোর ব্যবস্থা হয়ে গেছে। ম্যালকম ও কুকুরেয়াকে বিক্রি করে এবং ফিলিপে কুতিনহোকে ধারে পাঠিয়ে ৬০ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছে তারা। এখন বাকি অর্থ আদায়ের উপায় খুঁজতে হবে জানুয়ারির দলবদলে। এ ছাড়া খেলোয়াড়দের বেতনও কমাতে হবে বার্সেলোনা। ২০১৭/১৮ এর তুলনায় ২০১৮/১৯ মৌসুমে খেলোয়াড়দের বেতন ৩২ মিলিয়ন ইউরো বেড়েছে বার্সেলোনার। ফিফার নিয়ম ভাঙতে না চাইলে বেতনের অঙ্কটা ৬৪২ মিলিয়ন ইউরো থেকে অনেক কমিয়ে আনতে হবে কাতালান ক্লাবটিকে।