বাংলাদেশে স্মিথ আসবেন অধিনায়ক হয়েই?

অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব করতে আর কোনো বাধা নেই স্টিভ স্মিথের। ফাইল ছবি
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব করতে আর কোনো বাধা নেই স্টিভ স্মিথের। ফাইল ছবি

নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরেও নিষেধাজ্ঞা কাটছিল না স্টিভ স্মিথের। ২০১৮ সালে মার্চে বল বিকৃতির ঘটনায় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। খবরটা পুরোনো। সে নিষেধাজ্ঞা শেষে বিশ্বকাপও খেলেছেন স্মিথ। ইংল্যান্ডের মাটিতে একাই ইংল্যান্ডকে ঠেকিয়ে দেওয়ার প্রায় অবিশ্বাস্য এক কীর্তিও গড়েছিলেন। সবই করেছিলেন একটি অদৃশ্য কালি গায়ে লাগিয়েই।
তাঁর অধিনায়কত্বে অমন এক কাণ্ড ঘটায় দায়িত্ববোধের অভাব দেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হলেও অধিনায়ক হিসেবে তাঁর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল দুই বছর। রোববার সে মেয়াদও ফুরাল। অর্থাৎ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যদি চায় এবং স্মিথ আগ্রহী হন, তবে আজই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হতে বাঁধা নেই স্মিথের। কেপটাউন টেস্টের আগ পর্যন্ত যাঁকে ঘিরে ভবিষ্যতের স্বপ্ন গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া তাঁর হাতেই ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে দলের নেতৃত্ব।
স্মিথের অনুপস্থিতি ঝড় সামলানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন টিম পেইন। ভালোই করেছেন। কিন্তু এই উইকেটরক্ষকের বয়স ৩৫ হয়ে যাওয়ায় ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আবারও স্মিথের হাতে অধিনায়কত্ব তুলে দিতে পারে অস্ট্রেলিয়া। তাদের হাতে যোগ্য লোকেরও অভাব। কারণ, কেপটাউন–কেলেঙ্কারির মূল হোতাও সে সময়কার সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে আজীবনের জন্য নেতৃত্ব থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার অবশ্য এখনো পেইনেই মুগ্ধ এবং তাঁর ধারণা স্মিথ এখনো দলকে টানার চাপ নিতে আগ্রহী হবেন না হয়তো। তবে স্মিথ দায়িত্ব পেলেও সেটা হয়তো আপাতত শুধু টেস্টের জন্য। কারণ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্বের দায়িত্বটা উপভোগ করছেন অ্যারন ফিঞ্চ। তাঁর নেতৃত্বে দল ভালোই করছে। সূচি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া পরের টেস্ট সিরিজটি খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শেষ হলে হয়তো জুনে বাংলাদেশ সফর দিয়েই নতুন যাত্রা হবে স্মিথের।
স্মিথ অবশ্য চ্যানেল নাইনকে বলেছেন, আপাতত করোনার সময়টা নিজেকে ফিট রাখাতেই মন দিচ্ছেন। এ সময়টা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকার সময় ছিল। কিন্তু করোনা সেটাও থামিয়ে দিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আইপিএলের গুরুত্ব এবার বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু স্মিথের ধারণা এবারের আইপিএল খেলার আশা ছেড়ে দেওয়াই ভালো, ‘আমার ধারণা সব দেশের সীমানাই ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে না এটা (আইপিএল হওয়া) সম্ভব। আগামী কয়েক দিনে হয়তো কিছু আলোচনা হবে এ নিয়ে, তারা এ নিয়ে বসবে কী করা যায় সেটা বোঝার জন্য। আপাতত শুধু মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার চেষ্টা করছি। যদি হয় তো ভালো, না হলেও বিশ্ব এখন অন্য অনেক কিছু হচ্ছে। এখন একটা একটা করে দিন কাটাচ্ছি।’
অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর হওয়ার কথা আগামী জুনে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ যদি থামানো যায় এর মাঝে তাহলে হয়তো বাংলাদেশেই আবার ফিরবেন ‘অধিনায়ক স্মিথ’।