৫ বার আউট করেছিলেন লারাকে, পিসিবির সাহায্য পাননি বলে...

কানেরিয়া লারার উইকেট নিয়েছিলেন ৫ বার। ছবি: এএফপি
কানেরিয়া লারার উইকেট নিয়েছিলেন ৫ বার। ছবি: এএফপি

সুযোগ পেলেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) এক হাত নিয়ে থাকেন দানিশ কানেরিয়া। এবার দ্বার খুলে দিয়েছিলেন ইনজামাম-উল-হক। কানেরিয়া লুফে নিয়েছেন দু-হাতে। পিসিবি যে তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি সে ক্ষোভ আরও একবার প্রকাশ করলেন নিষিদ্ধ এ লেগ স্পিনার।

পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ এ উইকেটশিকারি ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে আজীবন নিষিদ্ধ হন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্রায়ান লারাকে নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর প্রসঙ্গ তুলে আনেন ইনজামাম। ২০০৬ মুলতান টেস্টে কানেরিয়ার ওপর দিয়ে লারার কেমন ঝড় তুলেছিলেন সে কথাই জানান পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক।

ইনজামাম বলেন, ‘দানিশ কানেরিয়া গুগলি মারল, লারা এগিয়ে এসে মারল বোলার মাথার ওপর দিয়ে। এরপর কানেরিয়া বলল, ভালো খেলেছ লারা। লারার জবাব, ধন্যবাদ স্যার। পরের তিনটি বলেই বাউন্ডারি মারল লারা।অধিনায়ক হিসেবে আমি গিয়ে দানিশকে বললাম, ওকে আরেকটু জ্বালাও। হয়তো রেগে আছে। উইকেট দিতে পারে। বড় শট খেলবে এই আশায় বাউন্ডারিতে ফিল্ডার পাঠাই। লারা এরপরও সবাইকে বোকা বানিয়ে বাউন্ডারি তুলে নিয়েছে।’

৬১ টেস্টে ২৬১ উইকেট নেওয়া কানেরিয়ার চোখ এড়ায়নি ইনজামামের এই সাক্ষাৎকার। ক্রিকেট পাকিস্তান এ নিয়ে প্রতিবেদন করায় তাদের টুইট রি-টুইট করেন তিনি। কানেরিয়া টুইটের ক্যাপশনে লেখেন, ‘ক্যারিয়ারে পাঁচবার লারার উইকেট নিয়েছি। সে ভালো ক্রিকেটার ছিল। পিসিবির সমর্থন পেলে আমি অনেক রেকর্ড ভাঙতে পারতাম।’

মাস কয়েক আগে পিসিবির প্রতি ক্ষোভটা প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন কানেরিয়া। ধর্মীয় কারণে ড্রেসিং রুমে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, এমন তোপ দাগেন তিনি। এই অভিযোগ প্রথম তুলেছিলেন কানেরিয়ারই সতীর্থ শোয়েব আখতার।

২০১৩ সালে কানেরিয়া নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে আপিল করলেও কাজ হয়নি। মাঝে কোচিং পেশায় নামতে পিসিবির সমর্থন চেয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন দিনগুলো ভালো কাটছে না। সাহায্য চেয়েছিলেন পিসিবি ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে। কানেরিয়া অভিযোগ করেছিলেন, পিসিবি তাঁর জীবন ‘লকডাউন’ করে রেখেছে। পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলা দ্বিতীয় হিন্দু ক্রিকেটার কানেরিয়া। তাঁর মামা অনিল দালপুত ছিলেন পাকিস্তান দলে খেলা প্রথম হিন্দু ক্রিকেটার।