টেন্ডুলকার-লারাদের ওপর অসন্তুষ্ট ইনজামাম

টেন্ডুলকার-লারার কেউই অবসরের পর নিজেদের ক্রিকেটের সঙ্গে তেমনভাবে জড়িয়ে রাখেননি। ছবি : এএফপি
টেন্ডুলকার-লারার কেউই অবসরের পর নিজেদের ক্রিকেটের সঙ্গে তেমনভাবে জড়িয়ে রাখেননি। ছবি : এএফপি
>ব্রায়ান লারা, শচীন টেন্ডুলকারদের ভূমিকায় খুশি নন ইনজামাম-উল-হক

ক্রিকেট ইতিহাসের ‘গ্রেট’ দের তালিকায় ওপরের দিকেই থাকবেন শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, সাঈদ আনোয়াররা। কয়েকটি প্রজন্মকে ক্রিকেট-আনন্দে বুঁদ করে কালের নিয়মেই তাঁরা বিদায় জানিয়েছেন মাঠের ক্রিকেটকে। কিন্তু খেলা ছাড়ার পর এই তিন গ্রেটকে সেভাবে ক্রিকেটের সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে থাকতে দেখা যায়নি কখনোই। ব্যাপারটা নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন আরেক গ্রেট ইনজামাম-উল-হক।

২০০৭ সালে ক্রিকেট ছাড়ার পর থেকে ইনজামাম নানাভাবে পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন। কেবল পাকিস্তান ক্রিকেট নয়, আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফেরও সদস্য হয়েছিলেন তিনি। হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক। ক্রিকেট মাঠে থেকেছেন সব সময়ই, বর্তমান খেলোয়াড়দের সাহায্য করছেন, নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে।

টেন্ডুলকার, লারা বা আনোয়ারদের সেভাবে মাঠে কখনোই দেখা যায়নি। টেন্ডুলকার-লারা নিজেদের সীমিত রেখেছেন নতুন ব্র্যান্ডের উদ্বোধন, টুইটার কার্যক্রম আর মাঝেমধ্যে টুকটাক টেলিভিশন ধারাভাষ্যে। আনোয়ারের পথ তো অনেক দিন আগেই বেঁকে গেছে তাবলিগ জামাতের দিকে।

ইনজামাম চান এই গ্রেট ক্রিকেটাররা আরও বেশি করে ক্রিকেটের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে রাখুন, ‘আমার সব সময় কিছুটা দুঃখ হয়। টেন্ডুলকার, লারা, সাঈদ আনোয়ারদের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা খেলাটাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সব সময়ই তাঁরা খেলাটিকে নতুন কিছু না কিছু উপহার দিয়েছেন। ক্রিকেটের পণ্ডিত যেটিকে বলা হয়, তাঁরা সেটিই। কিন্তু তাঁরা কখনোই ক্রিকেট ছাড়ার পর এর সঙ্গে সেভাবে নিজেকে জড়িয়ে রাখেননি। তাঁরা যদি ক্রিকেট প্রশাসনে জড়িত হতেন, কিংবা কোচ হতেন তাহলে ক্রিকেট খেলাটা তাদের কাছ থেকে অনেক উপকৃত হতো। তাঁরাও নতুন নতুন ক্রিকেটার তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারতেন।’