করোনায় ফুটবলারদের মৃত্যুর শঙ্কা কম দাবি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের

ব্রাজিলে ফুটবল ফেরাতে মরিয়া দেশটির প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো। ফাইল ছবি
ব্রাজিলে ফুটবল ফেরাতে মরিয়া দেশটির প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো। ফাইল ছবি
>করোনাভাইরাসে ফুটবলারদের মৃত্যুঝুঁকি কম বলেই ভাবছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

করোনায় বিপর্যস্ত ব্রাজিল। ফুটবলপাগল দেশটিতে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। দেশটিতে প্রায় ২৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়। এরই মধ্যে কিনা ফুটবল ফেরানোর তাগিদ দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো। প্রেসিডেন্টের দাবি, করোনা ফুটবলারদের কিছুই করতে পারবে না, ‘ফুটবলাররা যেহেতু তরুণ অ্যাথলেট, তাই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেও তাঁদের মৃত্যুর শঙ্কা খুবই কম।’

ডানপন্থী এই প্রেসিডেন্ট মার্চে বলেছিলেন, একসময় খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তাঁর বড়জোর একটু ঠান্ডা লাগতে পারে।

তবে ফুটবল ফেরাতে চাওয়ার পেছনে অর্থনীতিকেই মূল কারণ দেখাচ্ছেন বোলসোনারো। বলছেন বেকারত্বের হার কমাতেই ফেরাতে হবে ফুটবল ‘খেলোয়াড়দের তো কোনোভাবে টিকে থাকতে হবে। তাঁদের পরিবারের মুখে তুলে দিতে হবে খাবার।’বোলসোনারো ভাবছেন, আঞ্চলিক ছোট লিগগুলো অন্তত চালু করা দরকার।

তবে বোলসোনারো চাইলেই দেশের সর্বত্র ফুটবল চালু করতে পারবেন না। বিভিন্ন রাজ্য ও মিউনিসিপালিটিগুলোরই শুধু এখতিয়ার আছে স্থানীয় ফুটবল লিগ আবার চালু করার অনুমতি দেওয়ার।

এর আগে গত ১৯ মে বোলসোনারো ও তাঁর ছেলে রিওর দুই বিখ্যাত ক্লাব ভাস্কো দা গামা ও ফ্ল্যামেঙ্গোর সঙ্গে বৈঠক করেন। বাবা–ছেলে দুই ক্লাবের জার্সি পরে আছেন এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। দুই ক্লাবেরই সমর্থক গোষ্ঠী দাবি করে তাঁদের ভাবমূর্তি রাজনীতির কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।

তবে সমর্থকদের দাবি উড়িয়ে দেন ফ্ল্যামেঙ্গোর সভাপতি রোদোলফো লানদিম, ‘এটা স্রেফ রাজনৈতিক অসহিষ্ঞুতা। আমি (প্রেসিডেন্টের কাছে) শুধু ফ্ল্যামেঙ্গোর স্বার্থই তুলে ধরেছি। ’ ওই বৈঠকের পরের দিনই টিভি গ্লোবোর হেলিকপ্টার থেকে তোলা ছবিতে দেখা যায় অনুমতি ছাড়াই অনুশীলন করছেন ফ্ল্যামেঙ্গোর ফুটবলাররা। রিও রাজ্যে সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আনা বিয়াত্রিজ বাজে উদাহরণ তৈরির জন্য কঠোর সমালোচনা করেন ক্লাবটির। রিওর মেয়র অবশ্য বলেছেন জুন থেকেই অনুশীলন শুরু করতে পারবে ক্লাবগুলো।

পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের ফুটবল লিগ বন্ধ হয়েছে মার্চ মাসে। সে সময়ে ব্রাজিলের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়নি। তবে আঞ্চলিক লিগগুলো চলছিল।