এমন আনন্দের মুহূর্তে কীসের আবার সামাজিক দূরত্ব?

জয়ের পর উচ্ছ্বাসে ভেসে গেছেন ফ্রেইবুর্গ কোচ ক্রিস্টিয়ান স্ট্রেইখ। ছবি: সংগৃহীত
জয়ের পর উচ্ছ্বাসে ভেসে গেছেন ফ্রেইবুর্গ কোচ ক্রিস্টিয়ান স্ট্রেইখ। ছবি: সংগৃহীত

এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না—এমন অনেক বিধিনিষেধ মেনে নেওয়ার ‌'প্রতিশ্রুতি' দিয়েই মাঠে ফিরেছে জার্মানির বুন্দেসলিগা। কিন্তু সব সময় কি সব বিধিনিষেধ মেনে চলা সম্ভব? বিশেষ করে তুলনামূলক বড় কোনো দলের বিপক্ষে মহামূল্যবান জয় পাওয়ার কেমন লাগবে কোনো দলের কোচের? নিশ্চয়ই আনন্দে ভেসে যেতে চাইবেন তিনি। ইচ্ছে করবে পাশে থাকা মানুষটিকে জড়িয়ে ধরতে।

এমন সব মুহুর্তে আবেগ বশে রাখা কি এতই সহজ! এটা পারেননি ফ্রেইবুর্গের কোচ ক্রিস্টিয়ান স্ট্রেইখও। মনশেনগ্লাবাখের বিপক্ষে ১-০ গোলে পাওয়া জয়ের পর পাশে থাকা কোচিং স্টাফের আরেক সদস্যকে আবেগে জড়িয়ে ধরেছেন। শুধু ওই একজনকে জড়িয়ে ধরে থেমে গেলেও হতো, উচ্ছ্বাস যেন থামতেই চাইছিল না স্ট্রেইখের। সেই সময় কাছে যাঁকে পেয়েছেন, জড়িয়ে ধরেছেন!

ওই একটি মুহূর্তের জন্য স্ট্রেইখ যেন ভুলে গিয়েছিলেন বিধিনিষেধের সব বালাই, করোনাভাইরাস মহামারির কথা আর ভুলে গিয়েছিলেন ডাগআউটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার বিষয়টি। অথচ বুন্দেসলিগা ফেরার আগে লিগ কর্তৃপক্ষ নিয়মকানুনের যে ফর্দ বানিয়েছিল তাতে স্পষ্ট লেখা আছে, ডাগআউট বেঞ্চে একজনের সঙ্গে আরেকজনের কমপক্ষে তিন মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

জয়ের পর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন ফ্রেইবুর্গ কোচ ক্রিস্টিয়ান স্ট্রেইখ। ছবি: সংগৃহীত
জয়ের পর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন ফ্রেইবুর্গ কোচ ক্রিস্টিয়ান স্ট্রেইখ। ছবি: সংগৃহীত

স্ট্রেইখ এমন উচ্ছ্বাসে ভাসবেন নাই বা কেন, ইউরোপা লিগে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়ছে তাঁর দল আর এই জয়ে সেই পথেই থাকল। ৩০ ম্যাচ শেষে অষ্টম স্থানে থাকা ফ্রেইবুর্গের পয়েন্ট এখন ৪১। ৪২ করে পয়েন্ট নিয়ে হফেইনহেইম সপ্তম ও ভলফসবুর্গ আছে ষষ্ঠ স্থানে। যদিও একটি করে ম্যাচ কম খেলেছে দল দুটি। ষষ্ঠ স্থানে থেকে লিগ শেষ করতে পারলেই আগামী মৌসুমের ইউরোপা লিগে খেলতে পারবে ফ্রেইবুর্গ।