পিএসজি তারকা কেনে, বিক্রি করে না

কোথাও যাচ্ছেন না এ দুজন। ফাইল ছবি
কোথাও যাচ্ছেন না এ দুজন। ফাইল ছবি

এমবাপ্পে রিয়াল মাদ্রিদে আর নেইমার বার্সেলোনায়।  দুই পিএসজি সতীর্থের ভবিষ্যতটা এভাবেই সাজিয়ে নিয়েছেন সমর্থকেরা। প্রতিদিনই এ সংক্রান্ত খবর পত্রিকায় আসে। দলবদলের গুঞ্জন জায়গা করে নেয় অনলাইন পোর্টালের পেইজগুলোতে। কিন্তু রিয়াল ও বার্সা - দুই ক্লাবের সমর্থকদের সতর্ক করে দিয়েছেন আন্দের হেরেরা। বলেছেন, পিএসজি কখনো তারকা বিক্রি করে না।

গত মৌসুমে নেইমার এমবাপ্পের সঙ্গী হয়েছেন আন্দের হেরেরা। করোনার কারণে মার্চে বন্ধ হওয়া লিগ আগেভাগেই শেষ করে দিয়েছে ফরাসি ফুটবল কর্তৃপক্ষ, বড় এক ছুটিই তাই পেয়েছেন পিএসজির এই মিডফিল্ডার। স্প্যানিশ পত্রিকা এএসের সঙ্গে কথোপকথনে এমবাপ্পে ও নেইমারের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে নিজের মতামতটা এভাবেই জানিয়েছেন, 'আমি জানি না (ক্লাব কাউকে বিক্রি করবে কি না)। কারণ ওরা কত আয় করে কিংবা ক্লাব কত আয় করে এটা জানি না। শেষ পর্যন্ত এটা তো একটা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এটা জানি, ওরা প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এবং যতদূর জানি ওরা পিএসজির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুশি।'   

ফুটবলের সবচেয়ে বড় দুই দলবদল এখন পিএসজির দখলে। ২০১৭ সালের আগস্টে তোলপাড় ফেলে দিয়ে বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে এনেও শান্ত হয়নি পিএসজি। এক মাস পেরোনোর আগেই এমবাপ্পেকে টেনে নিয়েছে ১৮০ মিলিয়ন ইউরোতে। এ দুটি অঙ্ক এখনো রেকর্ড হয়ে আছে। করোনা পরবর্তী ফুটবলে হয়তো এ রেকর্ড টিকে থাকবে অনেকদিন। ওদিকে খেলোয়াড় বিক্রিতে তেমন কোনো বড় নাম ডাক নেই তাদের। সর্বোচ্চ ৪০ মিলিয়নে গনসালো গেদেসকে বিক্রি করেছে পিএসজি।

নেইমার ও এমবাপ্পেকে নিয়ে ওঠা নানা গুঞ্জনের মাঝে তাই পিএসজির আর্থিক ক্ষমতা আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন হেরেরা, 'ওদের নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেক খবর আসে, এটা সত্যি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আসে। কিন্তু এ নিয়ে আমরা খুব একটা ভাবি না। আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে আগে। আমি এ নিয়ে কিলিয়ানের সঙ্গে কথাও বলেছি। পিএসজি এমন কোনো ক্লাব না যারা তারকা বিক্রি করে, বরং উল্টো। ওরা তারকা কেনে। আর্থিকভাবে এই ক্লাব দুজনকেই ধরে রাখার মতো শক্তিশালী।'