রোনালদোরা ফিরেই ফাইনালে

>
1ফাইনালে উঠলেও ম্যাচ ড্র করেছে জুভেন্টাস। আর রোনালদো পেনাল্টি মিস করেছেন। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
1ফাইনালে উঠলেও ম্যাচ ড্র করেছে জুভেন্টাস। আর রোনালদো পেনাল্টি মিস করেছেন। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

৯৬ দিন পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিলেন রোনালদো-দিবালারা। এসি মিলানের বিপক্ষে কোপা ইতালিয়ার সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে গোলশূন্য ড্র করে ফাইনালে উঠেছে তাঁরা।

অথচ রোনালদোর ব্যর্থতার চিকন খাতায় আরেকটি পৃষ্ঠা যোগ করার কথা ছিল এই ম্যাচটায়।

খেলার বয়স তখন মাত্র ১৫ মিনিট। উড়ে আসা একটা ক্রস সামলাতে গিয়ে আর আগুয়ান রোনালদোকে দেখে ভড়কে গেলেন এসি মিলানের ইতালিয়ান রাইটব্যাক আন্দ্রেয়া কন্তি। মনে হলো হাত দিয়ে আটকালেন বলটাকে। তা দেখে রোনালদোও একটু থতমত খেয়ে গেলেন যেন, কন্তির বল থেকে আসা বলটা লাগল রোনালদোর হাতে। প্রথম দেখায় রোনালদো 'হ্যান্ডবল' করেছেন বলে মনে হলেও, আসল ঘটনা বোঝা গেল একটু পর। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তায় কন্তির ভুলের জন্য মিলানকে সর্বোচ্চ শাস্তিই দিলেন রেফারি। পেনাল্টি পেল জুভেন্টাস।

তিন মাস ঘরে বসে থেকে রোনালদোর পায়ে মরচে ধরেছে কি না কে জানে! বলটা মারলেন গোলবারে। উত্তেজিত মিলান সমর্থকদের অবশ্য হাঁফ ছেড়ে বাঁচার উপায় নেই! দলের ওপর দুর্ভাগ্য বয়ে আনলেন মিলান স্ট্রাইকার আনতে রেবিচ। বল দখলের লড়াইয়ে জুভেন্টাসের ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাক দানিলোর মুখে চলে গেল তাঁর পা— একদম কুংফু স্টাইলে! মোটামুটি একই কাজ করে ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ডাচ তারকা নাইজেল ডি ইয়ং বেঁচে গেলেও রেবিচের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হল না। লাল কার্ড দেখলেন এই ক্রোয়েশিয়ান তারকা।

ম্যাচের বাকি ৭৭ মিনিট দশজন নিয়েই খেলল মিলান। তবে একজন কম নিয়ে খেললেও, তাঁদের জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারেননি রোনালদো-দিবালারা। ভেবে দেখুন, কোনোভাবে মিলান যদি এক গোল দিয়ে দিত, রোনালদোর পেনাল্টি মিসটাই কাল হতো জুভদের জন্য।

তবে সেটা হয়নি। ম্যাথিস ডি লিট ও লিওনার্দো বোনুচ্চির কল্যাণে জুভেন্টাসের রক্ষণভাগও ছিল জমাট। অবশ্য মিলানের আক্রমণভাগ তেমন কোনো পরীক্ষাও নিতে পারেনি তাঁদের। ১১ জন মাঠে থাকার সময়েই মাঝমাঠ ছেড়ে সামনে এগোতে বড্ড অনীহা দেখাচ্ছিলেন রেবিচ-পাকেতা-চালানোলুরা। রেবিচের লালকার্ডের পর সেই গোল না খাওয়ার প্রতিজ্ঞাটা আরও দৃঢ় হয় যেন তাঁদের মধ্যে। দু-তিনটা বিচ্ছিন্ন সুযোগ বাদ দিলে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছে জুভেন্টাসই। তবে একজন কম নিয়েও রোনালদো-দিবালা-কস্তাদের আটকানোর কৃতিত্বটা ষোলোআনা পাবেন সিমোন কায়ের-আলেসিও রোমানিওলি-ফ্র্যাঙ্ক কেসিরা।

যদিও তাতে লাভ হলো না মিলানের। কারণ প্রথম লেগে মিলানের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করে এসেছিল জুভেন্টাস। রোনালদোর সফল এক পেনাল্টির কল্যাণে পেয়েছিল মহামূল্যবান একটি 'অ্যাওয়ে' গোল। সেই 'অ্যাওয়ে' গোলের সুবাদেই ফাইনালে উঠে গেল তাঁরা।


আপাতত ইতালির সব ম্যাচই হবে দর্শকশূন্য মাঠে। আজ রাতে একই সময়ে আরেক সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে নাপোলি ও ইন্টার মিলান। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ১৭ জুন। এর তিন দিন পরই শুরু হবে সিরি–আ।