গার্দিওলার 'ডাক্তারিতে' অতিষ্ট হয়ে বায়ার্ন ছেড়েছিলেন যে ডাক্তার

যখন তাঁরা সতীর্থ। পেপ গার্দিওলা (বাঁয়ে) ও হান্স-ভিলহেলম মুলার-ভলফার্ট। ফাইল ছবি
যখন তাঁরা সতীর্থ। পেপ গার্দিওলা (বাঁয়ে) ও হান্স-ভিলহেলম মুলার-ভলফার্ট। ফাইল ছবি
>পেপ গার্দিওলা সব কিছুতে নাক গলানোয় ২০১৫ সালে বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়েছিলেন দলটির চিকিৎসক হান্স-ভিলহেলম মুলার-ভলফার্ট

হান্স-ভিলহেলম মুলার-ভলফার্টকে মনে আছে?মনে না থাকলে সমস্যা নেই। ফুটবল ক্লাবের ডাক্তারদের নাম কজনেই বা মনে রাখে। তবে মুলার-ভলফার্ট সাধারণ কোন চিকিৎসক নন। দুই বছর বাদে ১৯৭৭ থেকে এই জুন পর্যন্ত জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে ছিলেন এই ভদ্রলোক। বায়ার্নের পাশাপাশি জার্মান জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন ১৯৯৫ থেকে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ফুটবলের বাইরের লোকজনও তাঁর শরণ নিতেন। তাঁর কাছে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েই ২০১৬ লন্ডন অলিম্পিকে এসে সোনা জিতেছিলেন স্প্রিন্ট কিংবদন্তি উসাইন বোল্ট। ১০০ মিটারের সোনা জিতে মুলার-ভলফার্টকেই উৎসর্গ করেছিলেন বোল্ট।

সেই মুলার-ভলফার্ট ২০১৫ সালে বায়ার্ন ছেড়ে দিয়েছিলেন। কেন ছেড়েছিলেন ৫ বছর পর সেটিরই ব্যাখ্যা দিলেন মুলার-ভলফার্ট। ৭৭ বছর বয়সী চিকিৎসক জানালেন সে সময়ের বায়ার্ন কোচ পেপ গার্দিওলার 'ডাক্তারিতে' অতিষ্ট হয়েই ক্লাব ছেড়েছিলেন তিনি। তাঁর চেয়ে 'বেশি ডাক্তারি বোঝা' গার্দিওলার সঙ্গে ঝামেলা হওয়াতেই ক্লাব ছেড়ে দিয়েছিলেন।

বিআর২৪ নামের এক টেলিভিশনকে মুলার-ভলফার্ট জানিয়েছেন কী হয়েছিল তা, 'সে (গার্দিওলা) খুব সফল এবং অন্যতম বড় কোচ, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তাঁর মতো একজন অল্প বয়সী কোচ চিকিৎসা বিষয়ে নাক গলাবে এবং দাবি করবে সে আমার চেয়ে সবকিছু ভালো বোঝে, সেটি আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না।'

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে পোর্তোর কাছে বায়ার্নের হারের পেছনে গার্দিওলা নাকি ক্লাবের মেডিক্যাল বিভাগকে দায়ী করেছিলেন। গার্দিওলা বায়ার্ন ছাড়ার পর সেই মুলার-ভলফার্ট ২০১৭ সালে আবার ফিরে আসেন ক্লাবটিতে। প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর গত মাসে আবারও ছেড়ে দিয়েছেন বায়ার্ন।

তবে মুলার-ভলফার্ট এটাও বললেন এখন আর গার্দিওলার সঙ্গে তাঁর কোনো বিরোধ নেই। ম্যানচেস্টার সিটি কোচের সঙ্গে দেখা হলে কথাবার্তাও বলেন দুজন।

২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত গার্দিওলার সময়ে টানা তিনবার বুন্দেসলিগা জিতেছিল বায়ার্ন।