আইপিএলের 'চাবি' দিয়ে বিশ্বকাপের 'তালা' খুলেছে ইংল্যান্ড

বিশ্বকাপের চাপ নেওয়ার ক্ষমতাটা ইংলিশ ক্রিকেটাররা শিখেছেন আইপিএল খেলেই। ফাইল ছবি
বিশ্বকাপের চাপ নেওয়ার ক্ষমতাটা ইংলিশ ক্রিকেটাররা শিখেছেন আইপিএল খেলেই। ফাইল ছবি

গত বছর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয় ছিল তাদের এক আরাধ্য স্বপ্নের বাস্তবায়ন। বেশ কয়েকবার শিরোপার খুব কাছে গিয়ে ফিরে আসা ‘ক্রিকেটের জনক’রা ২০১৯ সালে ঘরের মাঠের আয়োজনকে সামনে রেখে আঁটঘাট বেঁধেই নেমেছিল। রীতিমতো পরিকল্পনা সাজিয়েই তারা সাফল্য পেয়েছে। ইংল্যান্ডের এই বিশ্বকাপ জয়ের বিরাট পরিকল্পনা-যজ্ঞের অন্যতম বড় অংশ ছিল আইপিএল!

নেপথ্যের কাহিনিটা শুনিয়েছেন অধিনায়ক এউইন মরগান নিজেই। ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের সঙ্গে অনলাইন আড্ডায় মরগান অবশ্য বিশ্বকাপ সামনে রেখে নিজেদের আইপিএল-ভাবনার কৃতিত্বের বড় অংশটা নিজেই নিয়েছেন। তিনি-ই যে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) ক্রিকেট কমিটির প্রধান সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসকে জানিয়েছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটারদের আইপিএলে খেলার অনুমতি দিতে।

মরগান মনে করেছিলেন আইপিএলই একমাত্র প্রতিযোগিতা যেখানে খেলে ইংলিশ ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপের মতো বড় আসরের জন্য নিজেদের ঠিকঠাক তৈরি করতে পারবে, ‘আমি স্ট্রাউসকে জানিয়েছিলাম বিশ্বকাপ বা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির যে চাপ, সেটার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে আইপিএল খুব ভালো জায়গা হতে পারে।’

স্ট্রাউস অবশ্য মরগানের কথাতে সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যাননি। ক্রিকেট কমিটির প্রধানকে সবকিছু রীতিমতো ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হয়েছিল বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড-দলপতিকে, ‘স্ট্রাউস আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল আইপিএলে খেললে কী হবে? আমি তাঁকে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছিলাম পুরো বিষয়টা। প্রথমত, বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সেখানে খেললে প্রত্যাশার চাপ থাকবে। আইপিএলের চাপটাই অন্যরকম। বেশির ভাগ সময় আইপিএলের এই চাপ থেকে মুক্তি মেলে না ক্রিকেটারদের। সুতরাং তাঁকে একটা না একটা পরিকল্পনা বের করে ফেলতেই হয়।’

চাপের মুখে বারবার ভেঙে পড়া ইংলিশরা যে চাপ জয় করে বিশ্বকাপ জিতল, আইপিএল সে জন্য বড় একটা ধন্যবাদ তাহলে পেতেই পারে।