ক্ষমা চেয়েও লাভ হলো না মাঞ্জরেকারের

আইপিএলের ধারাভাষ্যে দেখা যাবে না সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে। ছবি: বিসিসিআই
আইপিএলের ধারাভাষ্যে দেখা যাবে না সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে। ছবি: বিসিসিআই

হঠাৎ করেই গত মার্চে বিসিসিআইয়ের ধারাভাষ্যকার প্যানেল থেকে বাদ পড়েন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। তবে আইপিএলের তোড়জোড় শুরু হতেই পুরোনো চাকরিটা পেতে ক্ষমা চেয়ে বোর্ডের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি কোনো। আগামী সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হতে যাওয়া আইপিএলের ধারাভাষ্যকার তালিকায় নাম নেই মাঞ্জরেকারের।

যেসব ধারাভাষ্যকার আইপিএলে কাজ করবেন, এরই মধ্যে বিসিসিআই তাদের প্রত্যেকের মেইলে চিঠি পাঠিয়েছে। মুম্বাই মিররের প্রতিবেদন অনুসারে, এই চিঠি পেয়েছেন সুনীল গাভাস্কার, হর্শ ভোগলে, মুরালি কার্তিক ও লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণন।

ধারাভাষ্যকার হিসেবে পুরোনো ‘চাকরি’ ফিরে পেতে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি বোর্ডের সব নির্দেশিকা মেনে চলারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাঞ্জরেকার। কিন্তু কোনো কিছুতেই মন গলাতে পারেনি বোর্ড কর্মকর্তাদের। এমনিতেই ধারাভাষ্যকার হিসেবে অনেকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন মাঞ্জরেকার। ইংল্যান্ডে গত বিশ্বকাপে রবীন্দ্র জাদেজাকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য পছন্দ হয়নি বিসিসিআইয়ের। এ ছাড়া গত বছর নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের টেস্ট ম্যাচের সময় সহকর্মী হর্শ ভোগলের ক্রিকেট বিশ্লেষণের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এসব মন্তব্যের কারণেই ধারাভাষ্যকার প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, অনেকে এমনটা অনুমান করছেন। যদিও স্পষ্ট করে তাঁকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে তখন কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি বিসিসিআই।

ক্ষমা চেয়ে চিঠিতে এবার মাঞ্জরেকার লেখেন, ‘যে কেউ আমার ধারাভাষ্য অনুসরণ করলে বুঝতে পারবে যে এসব নিয়ে কোনো বাজে ইচ্ছে আমার নেই। এটা তো সেই ক্রিকেট, যে খেলাটা আমার এবং আমার বাবাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমার মন্তব্য ও মতামত ভুল হতে পারে। কিন্তু তা কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণের উদ্দেশ্যে না। আমি শুধু সেরা পারফরম্যান্সেরই পক্ষেই কথা বলি, সেটা দল বা খেলোয়াড় যেই হোক না কেন।’