সাবেক ক্লাবের সাফল্যের ভাগ পাবেন ভেরনার?

চ্যাম্পিয়নস লিগে লাইপজিগের স্বপ্নযাত্রায় বড় অবদান আছে টিমো ভেরনারের।
ফাইল ছবি

লাইপজিগে সদ্যই সাবেক হয়েছেন জার্মানির স্ট্রাইকার। এবারের দলবদলের বাজারে লাইপজিগ থেকে নাম লিখিয়েছেন চেলসিতে। কিন্তু চেলসিতে নাম লেখানোর আগে চলতি মৌসুমে লাইপজিগের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ৩৪ গোল।

চ্যাম্পিয়নস লিগে লাইপজিগের হয়ে এ মৌসুমে খেলেছেন ৮ ম্যাচ। গোল করেছেন ৪টি। এই চার গোলের দুটি বেনফিকার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে। আরেকটি গোল শেষ ষোলোর প্রথম লেগে, টটেনহামের মাঠে। তাঁর একমাত্র গোলেই সেই ম্যাচটি জিতেছিল লাইপজিগ। যার মানে একটাই—চ্যাম্পিয়নস লিগে লাইপজিগের স্বপ্নযাত্রায় ভেরনারের অবদান অনেক। কিন্তু সেই ভেরনার কি লাইপজিগের হয়ে পদক গলায় পরতে পারবেন? তিনি যে এখন চেলসির খেলোয়াড়!

চেলসিতে নাম লেখালেও লাইপজিগের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ৮টি ম্যাচ খেলায় পদক পেতে পারেন ভেরনার। তবে এ বিষয়টা নির্ভর করছে লাইপজিগ কর্তৃপক্ষের ওপর। উয়েফার নিয়মে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু অবশ্য বলা নেই। তবে এটা বলা আছে পদক তালিকায় কাদের নাম থাকবে সেটা ক্লাবই সিদ্ধান্ত নেবে।

২০১৯-২০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের যে নিয়ম উয়েফা দিয়েছে সেটির ১১ নম্বরের ৩ নম্বর ধারায় লেখা আছে, ‌‘বিজয়ী দলকে ৪০টি সোনার পদক দেওয়া হবে। রানার্সআপ দলকে দেওয়া হবে ৪০টি রুপার পদক। এর বাইরে বাড়তি কোনো পদক দেওয়া হবে না। তবে উয়েফার নিয়মে কোথাও নেই কোনো ক্লাবের হয়ে পদক পেতে হলে নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়কে কতটি ম্যাচ খেলতে হবে।

চ্যাম্পিয়নস লিগ যাত্রায় লাইপজিগকে এ পর্যন্ত নিয়ে আসায় ভেরনার যে অবদান রেখেছেন তার সম্মান তাঁকে দেখাবে কি না সেই সিদ্ধান্ত জার্মানির ক্লাবটিই নেবে। তবে এর জন্য সবার আগে আজ দলটিকে হারাতে হবে নেইমার-এমবাপ্পেদের পিএসজিকে।