ফিক্সিং রোধে মিথ্যা ধরার যন্ত্র?

ফিক্সিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্তদের মিথ্যা ধরার যন্ত্রের মুখোমুখি করার পক্ষে স্টিভ ওয়াহ
ফিক্সিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্তদের মিথ্যা ধরার যন্ত্রের মুখোমুখি করার পক্ষে স্টিভ ওয়াহ

ক্রিকেটের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ফিক্সিং’। সেটা অবশ্য বেশ আগে থেকেই। সর্বশেষ আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে তোলপাড় হয় ক্রিকেটবিশ্বে। কিন্তু ক্রিকেটের দুর্নীতি রোধের উপায় কী?
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে অন্যতম সফল অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহর বিশ্বাস, প্রযুক্তির সহায়তাই পারে ক্রিকেটকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে। এ জন্য মিথ্যা ধরার যন্ত্র (পলিগ্রাফ) ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।
ব্যক্তিগত কাজে এই মুহূর্তে ভারতে আছেন স্টিভ। গত পরশু একটি প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানে ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ঘটা লজ্জাজনক। ক্রিকেটের দুর্নীতি দূর করতে আম্পায়ারদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। মিথ্যা ধরার যন্ত্র ব্যবহারেরও প্রয়োজন রয়েছে।’
স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ১৬ মে ভোরে রাজস্থান রয়্যালসের তিন ভারতীয় ক্রিকেটার শ্রীশান্ত, অজিত চান্ডিলা ও অঙ্কিত চাভানকে মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। পুলিশের দাবি, সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। জুয়াড়িদের সঙ্গে অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের কথা বলার রেকর্ড তাদের হাতে রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত শ্রীশান্তরা নিজেদের দোষ অস্বীকার করে চলেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করার কৌশলটা নতুন নয়। ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনায় তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটার সালমান বাট ১০, মোহাম্মদ আসিফ ৭ ও মোহাম্মদ আমির ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন। যুক্তরাজ্যের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে তাঁরা কারাদণ্ডও ভোগ করেন। অথচ শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন তাঁরা। কাউন্টিতে ফিক্সিং করায় ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেটে আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছেন দানিশ কানেরিয়া।আপিলেও হেরে গেছেন তিনি। এর পরও পাকিস্তানি এই লেগস্পিনারের দাবি, তিনি নির্দোষ। ৪৮ বছর বয়সী স্টিভ মনে করেন, ফিক্সিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রত্যেককেই মিথ্যা ধরার যন্ত্রের মুখোমুখি করা দরকার। এতে সত্য বেরিয়ে আসবে। সূত্র: পিটিআই।