তরুণ-অভিজ্ঞ মিলিয়ে জাপান ম্যাচের ২৩

সামনে জাপান অনূর্ধ্ব-২১ দল। জাপানের এই যুব দলটিও বাংলাদেশের জন্য ‘বাঘ’। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৮ ডিসেম্বর প্রীতি ম্যাচ, যতটা সম্ভব লড়াই তো করতে হবে। এ কারণেই জাপানের যুব দলের সঙ্গে খেলানো হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় দল।
কোচ সাইফুল বারী তারুণ্যের পাশাপাশি অভিজ্ঞতাকে সমান গুরুত্ব দিয়েই দল দিয়েছেন। কাল ঘোষিত ২৩ জনের প্রাথমিক দলে যেমন সোহেল রানা, রায়হান, ইয়াছিন, তপু, হেমন্তের মতো তরুণেরা আছেন, তেমনি অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার মিশু ও স্ট্রাইকার শাখাওয়াত রনিকেও বাদ দেওয়া যায়নি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলা সর্বশেষ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ইউসুফ সিফাত ও ফাহাদের জায়গায় ঢুকেছেন এ দুজন।
গত কাঠমান্ডু সাফ ফুটবলে চোট নিয়ে মাত্র ৫ মিনিট খেলেছিলেন শাখাওয়াত। গত সেপ্টেম্বরে ইনচন এশিয়ান গেমসে খেলতে গিয়ে চোট নিয়ে ফিরে আসেন মিশু।
কোচ চান ৯০ মিনিট খেলার মতো ফিটনেস। এ যুগের ফুটবল অনেকটাই ফিটনেস-নির্ভর। তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ফিটনেস-সমস্যা যেন দূর করা যায় না কিছুতেই। জাতীয় দলের ক্যাম্প বা ক্লাবে না থাকলে তাঁদের বেশির ভাগই ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করেন না। ফলে নতুন ম্যাচ এলে আবার শুরু করতে হয় প্রথম থেকে।
সাইফুল বলছিলেন, ‘জাপানের দলটা যুব হলেও ওদের মান অনেক উঁচু। এ ধরনের দলের সঙ্গে খেলতে পুরো সময় মাঠে সেরাটা দেওয়ার মতো ফিটনেস থাকা চাই। তাই আমার প্রয়োজন ফিট খেলোয়াড়। পাশাপাশি যতটা সম্ভব ভুল কম করতে হবে। এ জন্য তারুণ্যের সঙ্গে অভিজ্ঞতার মিশ্রণ দরকার। দুটিকে সমন্বয় করেই দলটা গড়েছি।’
নতুন এই মিশনে খেলোয়াড়দের আগামীকাল দুপুর ১২টায় বাফুফে ভবনে রিপোর্ট করতে হবে। বাফুফে ভবনেই হচ্ছে আবাসিক ক্যাম্প।
২৩ জনের দল
রাসেল মাহমুদ লিটন, মাজহারুল ইসলাম, শহিদুল আলম, আরিফুল ইসলাম, রায়হান হাসান, মোহাম্মদ লিংকন, নাসির উদ্দিন, ইয়াছিন খান, ইয়ামিন মুন্না, আতিকুর রহমান মিশু, নাসিরুল ইসলাম, তপু বর্মণ, মোনায়েম খান, মামুনুল ইসলাম, সোহেল রানা, হেমন্ত ভিনসেন্ট, তকলিচ আহমেদ, শাখাওয়াত রনি, জামাল ভূঁইয়া, জাহিদ হোসেন, ওয়াহেদ আহমেদ, জাহিদ হাসান এমিলি, মিঠুন চৌধুরী।