নেইমারের সেই গোলেই শিরোপা

তাঁর দেওয়া অ্যাওয়ে গোলেই স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়। নেইমারের হাতেই ট্রফিটা মানাল ভালো। কিন্তু পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ আলভেজ কী বোঝালেন হাতের পাঁচ আঙুলে? এএফপি
তাঁর দেওয়া অ্যাওয়ে গোলেই স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়। নেইমারের হাতেই ট্রফিটা মানাল ভালো। কিন্তু পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ আলভেজ কী বোঝালেন হাতের পাঁচ আঙুলে? এএফপি

অনেক কিছুই হলো। প্রথমবারের মতো বার্সেলোনার হয়ে নেইমার খেললেন ম্যাচের শুরু থেকে। অনেক প্রত্যাশিত মেসি-নেইমার জুটিও দেখা গেল তাই শুরু থেকেই। ফাউলের ছড়াছড়ি, দুটি লাল কার্ড এবং লিওনেল মেসির পেনাল্টি নষ্ট করা—সবই। ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনা আর অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মধ্যে স্প্যানিশ সুপার কাপের দ্বিতীয় লেগে হলো না শুধু গোলটাই!
ভিসেন্তে ক্যালদেরনে ১-১ ড্র হয়েছিল প্রথম লেগও। অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে তাই ১১ বারের মতো স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতে নিল বার্সেলোনা। কোনো লেগে না জিতে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জেতার ঘটনাও এই প্রথম।
কাল অবশ্য বার্সেলোনা জিতে যেতে পারত। কিন্তু পেদ্রোর সুবাদে ৮৯ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টিটা আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড নষ্ট করেছেন ক্রসবারে লাগিয়ে। শুরু থেকে খেললেও এদিন আলাদা নজর কাড়তে পারেননি নেইমার। তবে শেষ পর্যন্ত প্রথম লেগে করা তাঁর গোলটাই শিরোপা এনে দিল বার্সেলোনাকে। সব মিলিয়ে পরশু রাতে মেসি-নেইমার জুটি যে খুব একটা জমেনি সেটা স্বীকার করলেন বার্সেলোনা কোচ জেরার্ডো টাটা মার্টিনোও, ‘আলাদাভাবে ওরা দুজনেই বেশ ভালো খেলেছে। তবে এটা সত্যি যে তাদের জুটি হয়নি এবং একে অন্যকে খুব একটা খুঁজে পায়নি।’ পারফরম্যান্সটা ঠিক ‘বার্সেলোনাসুলভ’ হয়নি। তার পরও নতুন ক্লাবে দায়িত্ব নিয়েই প্রথম শিরোপা জিতে বেশ খুশি মার্টিনো। যদিও কৃতিত্বটা দিয়েছেন সাবেক বার্সা কোচ টিটো ভিলানোভাকে, ‘আমরা এই ফাইনাল খেলছি গত মৌসুমের ভালো পারফরম্যান্সের কারণে। আমি একটি ট্র্যাজেডির কারণে এখানে এসেছি। আমরা চ্যাম্পিয়নও হয়েছি খেলোয়াড়, টিটো আর কোচিং স্টাফের কারণে।’
বল পায়ে ধরে রাখার স্বভাবসুলভ খেলাটাই খেলেছে বার্সেলোনা। তবে গোলের সবচেয়ে ভালো দুটি সুযোগ পেয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। প্রথমার্ধের শেষ দিকে তুর্কি ফরোয়ার্ড আরদা তুরানের শট ফিরিয়ে দিয়েছেন বার্সা গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেস। গোলবারের নিচে অন্যদিনের চেয়ে উজ্জ্বল ভালদেস ৫৬ মিনিটে ফিরিয়ে দিয়েছেন ডি-বক্সের কোনা থেকে নেওয়া ডেভিড ভিয়ার একটি দারুণ শটও। দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি শারীরিক হয়ে ওঠা ম্যাচের মিনিট দশেক বাকি থাকতে ১০ জনের দল হয়ে গিয়েছিল অ্যাটলেটিকো। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অ্যাটলেটিকোর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফিলিপে লুইস। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে ডাগ-আউটে বসে রেফারিকে গালাগাল করে লাল কার্ড দেখেছেন আগেই বদলি হয়ে যাওয়া তুরানও।
লিগ জেতার সম্ভাবনা নেই—এই ঘোষণা দিয়েছেন আগেই। এত কাছে গিয়েও অ্যাওয়ে গোলের কারণে হাতছাড়া হয়ে গেল স্প্যানিশ সুপার কাপও। দলের পারফরম্যান্সে কিন্তু তার পরও সন্তুষ্ট কোচ ডিয়েগো সিমিওনে, ‘আমাদের দুটি নিশ্চিত সুযোগ ছিল। এ রকম ম্যাচে ওই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হয়। তবে আমি ছেলেদের নিয়ে গর্বিত। দুটো লেগেই ওরা বিশ্বের সেরা দল বার্সেলোনার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। এএফপি, টেন অ্যাকশন।