রুশো-ঝড়ে দ. আফ্রিকা ১৬৯

ঝড় তোলা শুরু করে​ছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। নাসিরের বলে থামেন ৪০-এই। ছবি: শামসুল হক
ঝড় তোলা শুরু করে​ছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। নাসিরের বলে থামেন ৪০-এই। ছবি: শামসুল হক

বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে। টসে জিতে ব্যাট হাতে মাঠে নেমেই ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স আর কুইন্টন ডি কক। ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটি বিশাল সংগ্রহেরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত প্রোটিয়াদের সংগ্রহটা কিন্তু যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিংই দেখাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। এবি ডি ভিলিয়ার্স আর কুইন্টন ডি কক যে পথে শুরুটা করেছিলেন, ডেভিড মিলার শেষটা করলেন সেই পথে। এই ত্রয়ীর প্রত্যয়দীপ্ত ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে ১৭০ রানের বড় লক্ষ্যমাত্রাই ছুড়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
মাত্র ১০ ওভারেই ৯৫ রান তুলে ফেলেছিলেন ভিলিয়ার্স আর কুইন্টন ডি কক। আরাফাত সানির প্রথম ব্রেক থ্রুটা বাংলাদেশের জন্য এসেছে বিরাট স্বস্তি হয়েই। সানির বলে কুইন্টন ডি কক যখন সাব্বিরের ক্যাচ হয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ৪৪ রানে। সঙ্গীর বিদায়ের পর এবি ডি ভিলিয়ার্সও ফেরেন বেশ দ্রুতই।
আরাফাত সানি ব্রেক থ্রু দিলেও বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান নাসির হোসেন। তাঁর একটি ওভারের পরপর দুই বলে সাজঘরের পথ ধরেন জেপি ডুমিনি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। ভিলিয়ার্স ৪০ রানে আউট হন। ডুমিনি ৬ রানের বেশি করতে পারেননি।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস মেরামত করার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি। তিনি ১৬ রানে মুস্তাফিজের বলে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ হয়ে ফিরলে প্রোটিয়াদের অল্পতে আটকে রাখার স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দিকে ডেভিড মিলার আর রাইলি রুশোর ঝড় দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহকে নিয়ে যায় ১৬৯-এ। মিলার ৩০ রান করেন ২৮ বলে। রুশো মাত্র ৬ বলে করেন ১৯ রান। সাকিবের চতুর্থ ওভার থেকে ১৯ রান তুলে বাংলাদেশের আশায় জল ঢেলে দেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
নাসিরই আজ বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার। ২৬ রানে তিনি তুলে নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন আরাফাত সানি আর মুস্তাফিজুর রহমান।