আবাহনীর জয়ে শুরু শেখ কামাল ফুটবল

গোল করার পর কোচ অমলেশ সেনের সঙ্গে ওয়ালি ফয়সাল। ছবি: শামসুল হক
গোল করার পর কোচ অমলেশ সেনের সঙ্গে ওয়ালি ফয়সাল। ছবি: শামসুল হক

আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামালের নামে টুর্নামেন্ট। তাই খুব সম্ভবত এই প্রতিযোগিতার পর্দা ওঠানো ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিনিধি ঢাকা আবাহনী লিমিটেডই। আবাহনীর কাছ থেকে তাই ভালো ফুটবলই প্রত্যাশিত ছিল আয়োজকদের। অমলেশ সেনের শিষ্যরা হতাশ করেননি আয়োজকদের, নিরাশ করেননি দর্শকদের। পাকিস্তানের করাচি ইলেকট্রিক ক্লাবের বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয় দিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব প্রতিযোগিতায় দারুণ শুরু এনে দিয়েছে দেশের ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবটি।
ম্যাচের স্কোর লাইন দেখে বিভ্রান্তির যথেষ্ট অবকাশ আছে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের একটা ইঙ্গিত আছে ম্যাচের স্কোরলাইনে। লড়াই হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাতে অবশ্যই ছিল ঢাকা আবাহনীর প্রাধান্য। খেলার শুরু থেকেই আক্রমণে-আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে করাচিকে কোণঠাসা করে ফেলেছিল ঢাকার জায়ান্টরা। ম্যাচের ২৪ মিনিটে ওয়ালি ফয়সালের বাঁ পায়ের দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামকে নাচিয়ে দিয়ে শুরু। আধিপত্যটা প্রায় পুরো সময় জুড়েই ছিল আবাহনীর। গোলের সুযোগ এসেছিল যথেষ্টই। কিন্তু কাজে লাগাতে না পারার কারণে গোল তিনটির বেশি হয়নি। করাচির প্রথম গোলটি আসে সহ-অধিনায়ক মুহাম্মদ রসুলের চকিত শটে। দ্বিতীয় গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে।
প্রথমার্ধেই আবাহনী এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। দ্বিতীয় গোলটি আসে বিদেশি রিক্রুট সানডে সিজোবার হেড থেকে। পেছন থেকে উঁচু করে বাড়ানো থ্রুটি সানডের মাথার ওপর আসতেই তা তিনি পাঠিয়ে দেন করাচির গোলপোস্টে।

ওয়ালির ফ্রিকিক প্রবেশ করছে করাচির জালে। ছবি: শামসুল হক
ওয়ালির ফ্রিকিক প্রবেশ করছে করাচির জালে। ছবি: শামসুল হক


দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য করাচি কিছুটা গুছিয়ে নেয় নিজেদের। আবাহনীর অর্ধে বেশ কিছু আক্রমণও করে। কিন্তু কোনোটাই তপু বর্মণ-প্রাণোতোষদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়নি। কিন্তু ম্যাচের ৭৫ মিনিটে মুহাম্মদ রসুলের গোলটি ছিল অসাধারণ। ডি-বক্সের একটু বাইরে তাঁর সামনে বল পড়লে বাঁ পায়ের চকিত শটে পাকিস্তান জাতীয় ফুটবল দলের এই খেলোয়াড় যে গোলটি করেন, তা কিন্তু মনে রাখার মতোই।
গোলের ব্যবধান কমিয়ে খেলায় ফিরে আসার আপ্রাণ চেষ্টা চালায় করাচি ইলেকট্রিক ক্লাব। কিন্তু ৭৭ মিনিটেই ওয়ালি ফয়সালের ফ্রিকিক আবারও আনন্দের অনুষঙ্গ হয় চট্টগ্রামের দর্শকদের। তাঁর ওই ফ্রিকিকটি করাচির এক রক্ষণসেনার পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়।
ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টিটি ছিল আবাহনীর জন্য একেবারেই আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত। সেই পেনাল্টি থেকে ব্যবধানটা খুব সহজেই কমিয়ে নিয়ে আসে করাচির ক্লাবটি।