বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির পরবর্তী গন্তব্য

সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে। সরকার বেসরকারি খাতের সঙ্গে মিলে এ উন্নয়নসাধন করেছে। এখানকার জনগণ সুফলও ভোগ করছে। আপনারা (বিদেশিরা) চাইলে এ দেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। বাংলাদেশ হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির জন্য পরবর্তী গন্তব্য। গতকাল বুধবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় শুরু ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজনের প্রথম দিনে মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময় তিনি ‘ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন অব ডেভেলপিং নেশন: বাংলাদেশ স্টোরি’ নামক একটি উপস্থাপনা উপস্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় বিভিন্ন দেশের সাতজন মন্ত্রী এই সম্মেলনে বক্তব্য দেন। বক্তারা ছিলেন বাংলাদেশের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ, মালদ্বীপের অর্থ ও কোষাগারবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোহামেদ আশমালি, ভুটানের তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী লিওনপো ডি এন ধুনগেয়ি, সৌদি আরবের আইসিটি উপমন্ত্রী খালিদ এফ আলতাইবি, নেপালের তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী সুরেন্দ্র কুমার কারকি, সুরিনামের পরিবহন, যোগাযোগ ও পর্যটনমন্ত্রী আনদোজো সারল্যান্ড, ভিয়েতনামের তথ্য ও যোগাযোগ সহমন্ত্রী হোয়াং ভিন বাও এবং ভারতে কর্মরত উগান্ডার হাইকমিশনার এলিজাবেথ পলা ন্যাপেইয়ক। সবাই নিজেদের দেশের তথ্যপ্রযুক্তির অবস্থান তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রশংসা করেন।

খালিদ এফ আলতাইবি বলেন, বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তির দক্ষ জনসম্পদ নেওয়ার ব্যাপারে বিবেচনা করবে সৌদি আরব। জুনাইদ আহ্‌মেদ তাঁর বক্তব্যে অতিথিদের এই সেমিনারে অংশ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। সেমিনার শেষে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের সঙ্গে সৌদি আরবের আল রাজি গ্রুপের একটি সমঝোতা চুক্তি হয়।

সুরেন্দ্র কুমার কার্কি বক্তব্যের শুরুতেই বাংলা ভাষায় বলে ওঠেন, ‘ভদ্রমহিলা, ভদ্রজন। এটা বঙ্গবন্ধুর মাটি। আগে থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে গাঢ় সম্পর্ক রয়েছে নেপালের। এখন এর সুফলও আমরা ভোগ করছি। ভবিষ্যতে আমাদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ হতে পারে।’ এস এম নজিবুল্লাহ চৌধুরী