ফেসবুককে নাম-পরিচয় দিলেন, বাকি থাকল কী?

ফেসবুক মস্তিষ্কতরঙ্গ পড়তে পারবে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ভবিষ্যতের যোগাযোগব্যবস্থা হিসেবে টেলিপ্যাথির কথা বলেছেন। ছবি: রয়টার্স
ফেসবুক মস্তিষ্কতরঙ্গ পড়তে পারবে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ভবিষ্যতের যোগাযোগব্যবস্থা হিসেবে টেলিপ্যাথির কথা বলেছেন। ছবি: রয়টার্স

আপনি কি ফেসবুক ব্যবহার করেন? আপনার নাম, বন্ধু, ছবি সবকিছুই তো ফেসবুককে দিয়েছেন। আর কী বাকি? হ্যাঁ বাকি আছে আপনার চিন্তা। ফেসবুক এখন সেটাও চাইছে।
সম্প্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি চাকরির বিজ্ঞাপন পোস্ট করেছে। এই বিজ্ঞাপন থেকেই ধারণা করা যায় ফেসবুক টেলিপ্যাথিক প্রযুক্তি বা মস্তিষ্কতরঙ্গ পড়তে পারার প্রযুক্তি উন্নয়নের পরিকল্পনা করছে। এর অর্থ হচ্ছে, ফেসবুকে কোনো স্ট্যাটাস হালনাগাদ বা শেয়ার করা লাগবে না। আপনি যা মনে মনে ভাববেন আর তা পোস্ট হয়ে যাবে ফেসবুকে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের চোখে, ফেসবুকের নতুন এই মন পড়ার ধারণা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির মতো শোনালেও তা গোপনীয়তার জন্য চূড়ান্ত দুঃস্বপ্ন। তবে এই স্বপ্নকে বাস্তবতার জগতে আনতে চাকরির ওই বিজ্ঞাপনই একমাত্র সূত্র নয়।
এর আগে ২০১৫ সালে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ টেলিপ্যাথিকে ভবিষ্যতের চূড়ান্ত যোগাযোগ প্রযুক্তি হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, একদিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরস্পরের সঙ্গে চিন্তাভাবনা বিনিময় করতে পারব। আপনি যা চিন্তা করবেন, আপনি যদি চান, আপনার ওই চিন্তা তৎক্ষণাৎ বন্ধুর সঙ্গে বিনিময় করতে পারবেন।’ 

গত বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে জাকারবার্গ বলেন, বিশ্ব ভার্চুয়াল রিয়ালিটির চেয়েও এগিয়ে যাবে। তাঁর ধারণা, দৃশ্যপটে কী ঘটছে তা ধারণ করার পরিবর্তে, মানুষ চিন্তা, চিন্তার অনুভূতি মস্তিষ্ক থেকে ধারণ করে তা বিনিময় করবে।
অবশ্য জাকারবার্গ মনে করেন, এ ধরনের প্রযুক্তি হাতের নাগালে আসতে এখনো কয়েক দশক লাগবে। ফেসবুক এগিয়ে থাকার জন্য এখন থেকে কাজ শুরু করেছে।
গবেষকেরা ইতিমধ্যে মস্তিষ্কতরঙ্গের অর্থ বের করার ক্ষেত্রে সফলতা দেখিয়েছেন। গত বছর ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এ নিয়ে পরীক্ষা চালান। মস্তিষ্কতরঙ্গ ব্যবহার করে মানুষ যদি কোনো মুখের ছবির দিকে বা বাড়ির দিকে তাকায়, তবে তা শনাক্ত করার কথা বলেন তাঁরা। তথ্যসূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ।