প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা দিতে বললেন জয়

আজ বুধবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের টেলিযোগাযোগ বিভাগে এক সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। ছবিটি প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক থেকে নেওয়া
আজ বুধবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের টেলিযোগাযোগ বিভাগে এক সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। ছবিটি প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক থেকে নেওয়া

টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে তরঙ্গ ব্যবহারে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা (টেকনোলজি নিউট্রালিটি) দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ বুধবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এক সভায় অংশ নিয়ে এ উপদেশ দেন তিনি।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সব প্রতিষ্ঠানের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে আইসিটি উপদেষ্টাকে জানাতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরীসহ এই বিভাগের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘টেকনোলজি নিউট্রালিটি দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে।’

চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) তরঙ্গ নিলামের আগেই নিউট্রালিটি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তারানা হালিম বলেন, ফোরজি চালুতে খুব বেশি দেরি করতে চাই না। নিলামের আগেই এটি দেওয়া হতে পারে। আর নিউট্রালিটি দেওয়ার জন্য বাড়তি অর্থ নেওয়া হবে কি না, সেটি বিটিআরসির প্রস্তাবের ওপর নির্ভর করবে।

যেকোনো তরঙ্গ ব্যান্ডে যেকোনো প্রযুক্তির সেবা দিতে পারার সুবিধাকে বলা হয় প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা। বর্তমানে বাংলাদেশে এই সুবিধা না থাকায় মোবাইল অপারেটরদের টুজি ও থ্রিজি প্রযুক্তির মতো সেবা দিতে বিভিন্ন ব্যান্ডের তরঙ্গ ব্যবহার করতে হয়। টুজির জন্য বাংলাদেশে নির্ধারিত ব্যান্ড হলো ৯০০ ও ১ হাজার ৮০০ মেগাহার্টজ। আর তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) টেলিযোগাযোগ সেবার নির্ধারিত ব্যান্ড হলো ২ হাজার ১০০ মেগাহার্টজ। টেকনোলজি নিউট্রালিটি দেওয়া হলে সব ব্যান্ডের তরঙ্গ দিয়েই টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি সেবা দিতে পারবে মোবাইল অপারেটররা।