প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা দিতে বললেন জয়

টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে তরঙ্গ ব্যবহারে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা বা টেকনোলজি নিউট্রালিটি দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়িত হলে যেকোনো তরঙ্গে যেকোনো প্রযুক্তির সেবা দিতে পারবে মুঠোফোন অপারেটররা।
সচিবালয়ে গতকাল বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক সভায় টেকনোলজি নিউট্রালিটির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সব প্রতিষ্ঠানের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে আইসিটি উপদেষ্টাকে অবহিত করতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদসহ এই বিভাগের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘টেকনোলজি নিউট্রালিটি দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগির এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) তরঙ্গ নিলামের আগেই নিউট্রালিটি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তারানা হালিম বলেন, ফোরজি চালুতে খুব বেশি দেরি করতে চাই না। নিলামের আগেই এটি দেওয়া হতে পারে। আর নিউট্রালিটি দেওয়ার জন্য বাড়তি অর্থ নেওয়া হবে কি না, সেটি বিটিআরসির প্রস্তাবের ওপর নির্ভর করবে।
যেকোনো তরঙ্গ ব্যান্ডে যেকোনো প্রযুক্তির সেবা দিতে পারার সুবিধাকে বলা হয় প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা। বর্তমানে বাংলাদেশে এই সুবিধা না থাকায় মুঠোফোন অপারেটরদের টুজি ও থ্রিজি প্রযুক্তির মতো সেবা দিতে বিভিন্ন ব্যান্ডের তরঙ্গ ব্যবহার করতে হয়। টুজির জন্য বাংলাদেশে নির্ধারিত ব্যান্ড হলো ৯০০ ও ১ হাজার ৮০০ মেগাহার্টজ। আর তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) টেলিযোগাযোগ সেবার নির্ধারিত ব্যান্ড হলো ২ হাজার ১০০ মেগাহার্টজ। টেকনোলজি নিউট্রালিটি দেওয়া হলে সব ব্যান্ডের তরঙ্গ দিয়েই টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি সেবা দিতে পারবে মুঠোফোন অপারেটররা।
জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের প্রধান করপোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ছিল এবং এর দ্রুত বাস্তবায়ন আশা করছি। ঘরে ভেতরে নেটওয়ার্কের মান উন্নয়নে ও গ্রাহকদের মানসম্পন্ন সেবা দিতে সহায়ক হবে টেকনোলজি নিউট্রালিটি।’