যে পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে রেখেছে ব্ল্যাকবেরি

ব্ল্যাকবেরি
ব্ল্যাকবেরি

একসময়ের জনপ্রিয় মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড ব্ল্যাকবেরির কথা মনে আছে নিশ্চয়? বাংলাদেশের বাজারে এই ফোনটির বেশ কদর ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে ব্ল্যাকবেরি ফোনের জনপ্রিয়তা কমতে কমতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। তবে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ার বাজারে এখনো ব্ল্যাকবেরি ব্র্যান্ডটি সুপরিচিত। তাই এই কয়েকটি দেশের বাজার নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করছে কানাডার মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
ব্ল্যাকবেরি বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক রূপান্তর পর্যায় অতিক্রম করছে। মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে সরে গিয়ে ব্ল্যাকবেরি নিরাপত্তা সফটওয়্যার নির্মাতা ও সেবা কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। এর ধারাবাহিকতায় চীনের টিসিএল কমিউনিকেশন টেকনোলজি হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করেছে ব্ল্যাকবেরি।
এই চুক্তির আওতায় ব্ল্যাকবেরি সফটওয়্যার সেবা দেবে আর টিসিএল মোবাইল ফোন তৈরি করবে। ব্ল্যাকবেরি ব্র্যান্ড লাইসেন্স ব্যবহার করতে পারবে টিসিএল। তবে ফোনের নকশা, তৈরি, বিক্রি ও গ্রাহক সেবা দেবে টিসিএল। ব্ল্যাকবেরি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন তৈরিতে টিসিএল বৈশ্বিক অনুমোদন পেলেও পাঁচটি দেশ এই চুক্তির বাইরে থাকছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এই পাঁচটি দেশের জন্য ভারতের দিল্লিভিত্তিক টেলিকম প্রতিষ্ঠান অপ্টিমাসের সঙ্গে সফটওয়্যার লাইসেন্স, সেবা, অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোন তৈরির জন্য পৃথক চুক্তি করেছে ব্ল্যাকবেরি।

ওই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপালে নিরাপদ অ্যান্ড্রয়েড হ্যান্ডসেট তৈরি করবে অপ্টিমাস। ব্ল্যাকবেরি তাতে নিরাপত্তা সফটওয়্যার সেবা দেবে। এ ছাড়া ব্ল্যাকবেরির ব্র্যান্ড সুবিধা ব্যবহার করতে দেবে।

ভারতের অপ্টিমাস ব্ল্যাকবেরির ফোনের নকশা, উৎপাদন, বিক্রি, প্রচার ও গ্রাহক সেবা দেবে।

এদিকে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে প্রায় ৪৩ কোটি ২০ লাখ স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে। সেখানে ব্ল্যাকবেরি সফটওয়্যার চালিত যন্ত্রের সংখ্যা দুই লাখের বেশি হবে না। অর্থাৎ অপারেটিং সিস্টেম বিভাগে ব্ল্যাকবেরির অবস্থান প্রায় শূন্যের কোঠায় চলে গেছে।

একই অবস্থা মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোনের। গত বছরে উইন্ডোজ ফোনের শেয়ার ১ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে।

স্মার্টফোনের বাজারে শীর্ষে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস। বাজার দখলের লড়াইয়ে টিকতে না পেরে ব্ল্যাকবেরি তাই ভিন্ন পথে হাঁটছে। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।