ভিডিও গেম খেলে পরিণতি আত্মহত্যা!

৫০টি ধাপ, একেক ধাপে একেক রকমের চ্যালেঞ্জ। কঠিন সব চ্যালেঞ্জের সমাহার, ভয়কে জয় করার প্রচেষ্টা। শেষ ধাপে আছে অবধারিত মৃত্যু। একবার চ্যালেঞ্জে ঢুকে পড়লে শেষ করতেই হবে, এমনটাই নিয়ম। আর চ্যালেঞ্জের শেষটায় প্রতিযোগী মুক্ত হবেন সকল জাগতিক ভয় থেকে। আত্মহত্যা করতে হবে সেই প্রতিযোগীকে! এ রকমই এক অনলাইন গেম বিশ্বজুড়ে প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে হাজারো তরুণ-তরুণীর!

ঘাতক এই গেমের নাম ‌‘ব্লু হোয়েল’। বাংলা অর্থ ‘নীল তিমি’। শুরুর দিকে গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যেত, এখন উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে অনেকের মোবাইলে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন আত্মহত্যার মূলে এই গেমকে দায়ী করেছেন আইনজীবীরা। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেই একটি আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।

ভারতীয় প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে গড়া বেঞ্চ সেই মামলা পরিচালনা করছেন। আইনজীবী সি আর জয় সুকিন আরজি জানান, অনলাইনে যেন এই গেম পাওয়া না যায় এবং এই গেমের খেলার ওপর সরকার যেন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কারণ, এই গেমটি মানুষকে আত্মহত্যা করতে উদ্বুদ্ধ করে। এটি এমন কিছু ডেয়ার বা চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে, যা পরে খেলোয়াড়ের আত্মহত্যায় পরিণতি নেয়।

গেমের ধারণাকৃত চ্যালেঞ্জ লিস্ট। ছবি: টুইটার
গেমের ধারণাকৃত চ্যালেঞ্জ লিস্ট। ছবি: টুইটার

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এই গেমের কারণে কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই। এ রকম ঘৃণ্য একটি গেমের নেশায় যেন কিছুতেই না পড়ে এ দেশের শিশু-কিশোর কিংবা তরুণেরা। পারিবারিক ও বন্ধু মহলে সচেতনতা তৈরি জরুরি। কারণ, এই গেম খেলার কারণে আত্মহত্যা করেছে এমন নজির বেশ কিছু পাওয়া গেছে সারা বিশ্বে। হেসে উড়িয়ে দেওয়ার বা অবজ্ঞা করার সুযোগ নেই।
একই সঙ্গে সরকারি তরফেও উদ্যোগ জরুরি। এ গেম যেন কিছুতেই পাওয়া না যায় বাংলাদেশে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। সূত্র: দ্য হিন্দু, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।