আইফোন টেনের এত চাহিদা!

প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাস এলেই প্রযুক্তিবিশ্বে খবরের কেন্দ্র হয়ে ওঠে অ্যাপল। যুক্তরাষ্ট্রের কুপারটিনোভিত্তিক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানটির আইফোন টেন সংস্করণটির চাহিদা বাড়ছেই। তাইওয়ানভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কেজিআই সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক মিং-সি কুয়ো জানিয়েছেন, আইফোন টেন ঘিরে মানুষের যত আকর্ষণ। এ কারণেই আইফোন টেনের চাহিদা চার থেকে পাঁচ কোটি ইউনিট ছাড়িয়ে যেতে পারে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, আইফোন টেনের চাহিদা বাড়তে থাকায় আইফোন ৮ ও ৮ প্লাসের ক্রেতা কম। অ্যাপল এই দুটি মডেলের আইফোন বিক্রি পর্যালোচনা করছে। তাই আইফোন টেনের যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীদের তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শ দিয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, আইফোন টেনের যে চাহিদা, এতে এ বছরের মধ্যে অনেকেই এ ফোন হাতে পাবেন না।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট নাইন টু ফাইভ ম্যাকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইফোন টেনের অতি চাহিদার কারণে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সরবরাহ ঘাটতি থাকবে। স্মার্টফোনটির ট্রুডেপথ ক্যামেরা সিস্টেমের জটিলতাকে এটির সীমিত উৎপাদনের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

২৭ অক্টোবর থেকে আইফোন টেনের জন্য আগাম ফরমাশ নিতে শুরু করবে অ্যাপল। ৩ নভেম্বর থেকে আইফোন টেন সরবরাহ শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি।

১২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে দশকপূর্তির চমক হিসেবে আইফোন টেনের ঘোষণা দেয় মার্কিন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। এতে এজ-টু-এজ স্ক্রিন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চিপ, ফেসিয়াল রিকগনিশন নতুন সেন্সর, এনিমেটেড ইমোজি, ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করার সুবিধাযুক্ত পোর্টেট মোড সেলফি, অগমেন্টেড রিয়্যালিটি গেম প্ল্যাটফর্ম ও তারহীন চার্জিংয়ের মতো প্রযুক্তি আছে। অ্যাপলের দাবি, ফোনটি আইফোন ৭-এর চেয়ে দুই ঘণ্টা বেশি চার্জ ধরে রাখতে পারে। আইফোন টেনের দাম ৯৯৯ মার্কিন ডলার হবে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি অনলাইন