হার্ট হবে পাসওয়ার্ড!

মার্কিন গবেষকেরা সম্প্রতি নতুন কম্পিউটার নিরাপত্তা ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেছেন, যা মানুষের হৃদ্‌যন্ত্রের আকারকেই শনাক্তকরণে উপায় হিসেবে কাজে লাগাবে।
মার্কিন গবেষকেরা সম্প্রতি নতুন কম্পিউটার নিরাপত্তা ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেছেন, যা মানুষের হৃদ্‌যন্ত্রের আকারকেই শনাক্তকরণে উপায় হিসেবে কাজে লাগাবে।

ফেসিয়াল পিকনিক বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট কম্পিউটার আইডেনটিফিকেশন প্রযুক্তির কথা ভুলে যান। মার্কিন গবেষকেরা সম্প্রতি নতুন কম্পিউটার নিরাপত্তাব্যবস্থা উদ্ভাবন করেছেন, যা মানুষের হৃদ্‌যন্ত্রের আকারকেই শনাক্তকরণে উপায় হিসেবে কাজে লাগাবে।

নিউইয়র্কের বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ওয়েনইয়াও ইয়ু গবেষণাবিষয়ক নিবন্ধের মূল লেখক। তাঁর ভাষ্য, মানুষের হৃদ্‌যন্ত্র অনন্য। দুজন মানুষের হৃদ্‌যন্ত্রের আকারে কোনো মিল পাওয়া যাবে না। সাধারণত মানুষের হৃদ্‌যন্ত্রের আকার পরিবর্তন হয় না। কখনো কখনো মারাত্মক হৃদ্‌রোগ হলে তা বদলাতে পারে।

গবেষকেরা দাবি করেন, এ পদ্ধতিটি স্মার্টফোনে ব্যবহারের পাশাপাশি বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় কাজে লাগানো যাবে। এটি নিরাপদ ও প্রচলিত পাসওয়ার্ড বা অন্যান্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতির চেয়ে নিরাপদ। যাঁরা প্রাইভেসি বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় সচেতন, তাঁদের কম্পিউটারে এই পদ্ধতিটি আনতে চান তাঁরা।

গবেষক ইয়ু বলেন, বারবার লগআউট বা লগইন করাটা বিরক্তিকর। অন্যরা যাতে কম্পিউটার লগইন করতে না পারেন, এ জন্য এ পদ্ধতিতে কম মাত্রার ড্রপলার রাডার ব্যবহার করা হয়, যা হৃদ্‌যন্ত্রে নজরদারি করে। শুরুতে হার্টস্ক্যান করতে আট সেকেন্ড সময় লাগে। এরপর সিস্টেমটি হৃদ্‌যন্ত্র শনাক্ত করতে পারে সহজেই।

অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের উত্যাহে মোবাইল কম্পিউটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (মোবিকন) বার্ষিক ২৩তম সম্মেলনে গবেষণা উপস্থাপন করবেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষক ইয়ু বলেন, তাঁদের তৈরি রাডার সিস্টেমে সংকেতের শক্তি ওয়াই-ফাইয়ের চেয়ে কম বলে তা মানুষের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে না। এটি তৈরিতে তিন বছর ধরে কাজ করছেন তাঁরা। হৃদ্‌যন্ত্রের আকার, গঠন ও নড়াচড়া বিশ্লেষণ করে এ পদ্ধতিটি কাজ করে। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।