ব্রিটেনের 'ভিকি ডোনার', জনক ৩৪ জনের!

‘স্পার্ম ডোনেশন’ নিয়ে বলিউডে নির্মিত সিনেমা ‘ভিকি ডোনার’। ছবি: উইকিপিডিয়া
‘স্পার্ম ডোনেশন’ নিয়ে বলিউডে নির্মিত সিনেমা ‘ভিকি ডোনার’। ছবি: উইকিপিডিয়া

দৈনন্দিন জীবনে ৩৪ সন্তানের জনক হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়! এই যুগে, সেটিও ব্রিটেনে! তবে চার বছর আগে বলিউডে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ভিকি ডোনার’ সিনেমাটা যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা কিন্তু বিশ্বাস করবেন যে বাস্তবে সত্যি সত্যিই ৩৪ সন্তানের জনক হওয়া সম্ভব। সেটা দাম্পত্য জীবনে না হোক, ‘স্পার্ম ডোনেট’ করে। 

ব্রিটেনে যেমন, সেখানকার শীর্ষ ‘শুক্রাণু দানকারী’ এখন পর্যন্ত ৩৪ সন্তানের পিতা হয়েছেন। সংবাদমাধ্যম লোকটির নাম প্রকাশ করেনি, তবে জানিয়েছে, তাঁকে অনুসরণ করে আরও এক ব্যক্তি শুক্রাণু দান করে ৩১ সন্তানের জন্মে ভূমিকা রেখেছেন। এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ন্যূনতম ১০ সন্তান জন্ম দিয়েছেন এমন শুক্রাণু দানকারীর মধ্যে এ দুই ব্যক্তিই ব্রিটেনে যথাক্রমে শীর্ষস্থানে আছেন।
নিঃসন্তান পরিবারকে সাহায্য করতে যাঁরা শুক্রাণু দান করছেন, তাঁদের কোনো পিতৃদায় কিংবা সেই সন্তানের ওপর কোনো অধিকার থাকে না। তাঁরা শুধু শুক্রাণু দিয়েই খালাস। তবে ২০০৫ সালের আইন বলছে, এসব সন্তান বড় হয়ে তাঁদের ‘বায়োলজিক্যাল বাবা’র পরিচয় জানার অধিকার রাখে। গত বছর ইংল্যান্ডের বেডফোর্ডশায়ারে সাইমন ওয়াটসন নামের এক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করেছিল সংবাদমাধ্যম, যাঁর দাবি ছিল ২০০০ সাল থেকে ‘স্পার্ম ডোনেট’ করে তিনি প্রায় ৮০০ সন্তানের জনক! সূত্র: ডেকান।

স্পার্ম ডোনেশন বা স্পার্ম ডোনার কী: সাধারণত যেসব নারী গর্ভধারণে সক্ষম কিন্তু তাঁদের পুরুষসঙ্গী অক্ষম—এ ধরনের দম্পতি কিংবা জুটির ক্ষেত্রে সন্তানলাভের জন্য সমাধান হলো ‘স্পার্ম ডোনেশন’ মানে শুক্রাণু দান। দাতার কাছ থেকে স্পার্ম নিয়ে সেটি ‘স্পার্ম ব্যাংক’-এ রাখা হয়। কোনো বন্ধ্যত্ব নিরসন (ফার্টিলিটি) হাসপাতালের মাধ্যমেও প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট উপায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সেই শুক্রাণু আগ্রহী নারীর গর্ভাশয়ে স্থাপন করেন। এতে কোনো ধরনের শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াই নারীর গর্ভাশয়ে শুক্রাণুকে স্থাপন করা হয়। যিনি শুক্রাণু দান করছেন (স্পার্ম ডোনার), তিনি এর বিনিময়ে অর্থলাভ ছাড়াও অন্যান্য সুবিধা পেতে পারেন। সেটা অবশ্যই দুই পক্ষের ন্যায়সংগত চুক্তি কিংবা আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। স্পার্ম ডোনেশন অনেকে স্বেচ্ছায় করেন, অনেকে এর বিনিময়ে অর্থও নিয়ে থাকেন। সন্তানের আকুতি থেকে দম্পতিদের মুখে হাসি ফোটানোর সহজ উপায় বলে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দিন দিন