ছোট শিশুদের স্ক্রিনের সামনে আনছেন?

ছোট শিশুদের ডিজিটাল যন্ত্রের পর্দার সামনে রাখলে আসক্তি তৈরি হতে পারে। ছবি: রয়টার্স।
ছোট শিশুদের ডিজিটাল যন্ত্রের পর্দার সামনে রাখলে আসক্তি তৈরি হতে পারে। ছবি: রয়টার্স।

ছোট শিশুদের সামনে কি টিভি, স্মার্টফোন, ট্যাবের স্ক্রিন নিষিদ্ধ করা উচিত? ফ্রান্সের নীতিনির্ধারক ও প্রোগ্রাম নির্মাতারা ছোট শিশুদের স্ক্রিনের সামনে রাখা নিয়ে বিপরীতধর্মী কথা বলছেন।

দেশটির নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের টিভি দেখতে দেওয়া কোনো মা-বাবার উচিত নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকেরাও শিশুদের বয়স কমপক্ষে ১৮ মাস না হওয়া অবধি কোনো স্ক্রিনের সামনে থাকতে দেওয়ার পক্ষপাতী নন।

ফ্রান্সের টিভি নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান সিএসএর কর্মকর্তা ক্যারল বেনামি বেসি দাবি করেন, ডিজিটাল ডিভাইসের সামনে শিশুদের বেশিক্ষণ রাখলে তা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যা তৈরি করে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে বেসি বলেন, মানুষ বুঝতে পারছে, একেবারে ছোট শিশুর ক্ষেত্রেও পর্দা বা স্ক্রিন আসক্তি তৈরি করে। অতিরিক্ত সময় ধরে পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে ভার্চুয়াল অটিজম নামের বিশেষ অটিস্টিক সমস্যা তৈরি হয়।

বেসি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির অনেকেই এটা জানেন। শিশুদের জন্য যদিও অনেক শিক্ষামূলক অ্যাপ আছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবকিছুর বিপরীত ফল পাওয়া যায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত সময় পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে শিশুদের স্কুলে মনোযোগ দিতে সমস্যা হয়।

তিন বছরের কম বয়সীদের লক্ষ্য করা সম্প্রচারকারীদের ২০০৮ সাল থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফ্রান্স। ফক্সের বেবিটিভি সেবাটিও বন্ধ করা হয়েছে।
অবশ্য বেশ কিছু অনুষ্ঠান নির্মাতা দাবি করছে, নিষিদ্ধ করে কোনো ফল হবে না। কারণ অনেক মা-বাবা টেলিভিশন চালিয়ে ও অন্যান্য যন্ত্র ব্যবহার করে শিশুদের লালন-পালন করেন।

বিবিসির শিশু শাখার প্রধান অ্যালিস ওয়েব বলেন, ছোট শিশুদের পর্দার সামনে না রাখার বিষয়টি প্রশংসার যোগ্য, কিন্তু বাস্তবসম্মত নয়। এখন সবখানেই ডিজিটাল প্রযুক্তি। ওই সময় আগেই পার হয়ে গেছে। ডিজিটাল ঢেউ কাটিয়ে সামনে এগোনো যাবে না। তথ্যসূত্র: এএফপি।