ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম সময়ের অপচয়, কোহলির বার্তা

কোহলি নিজে একসময় বেশ সক্রিয় ছিলেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে। ফাইল ছবি
কোহলি নিজে একসময় বেশ সক্রিয় ছিলেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে। ফাইল ছবি

ভারতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় তিনি। ফেসবুকে অনুসারী সংখ্যায় নরেন্দ্র মোদির চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও বিরাট কোহলির প্রতিটি পোস্টে সাড়া পড়ে যায়। লাখ লাখ লাইক পেরিয়ে যায় কোনো পোস্ট বা ছবিতে। সেই কোহলি বলছেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের এই লাইকের নেশায় পড়ে যেন এখনকার প্রজন্ম নিজেদের ধ্বংস না করে। কোহলির দেখে খারাপ লাগে, তরুণ প্রজন্ম যেমন সারাক্ষণ মুঠোফোনে ছোঁয়াপর্দা গুঁতোচ্ছে, একই ভাবে শিশুরাও খেলছে ভিডিও গেম।

শারীরিক ফিটনেস কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি মনে করিয়ে দিয়ে কোহলি বলেছেন, ‌‘এখন বাচ্চারা বাইরে নয়, ঘরেই বেশি খেলে, সেটিও ভিডিও গেম। শারীরিক পরিশ্রম কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর আমার এই বার্তা শুধু তরুণদের নয়, আমাদের দেশের সবার জন্য।’
নিজের ফিটনেসের ব্যাপারে সব সময়ই সজাগ এই ভারতীয় ক্রিকেট তারকা নিজের লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ওয়ান-এইট চালু করেছেন। এরই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোহলি বলেছেন, ‌‘সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সবার উচিত নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহার করা। দিনের বড় অংশটা নয়। কিন্তু এখন সেটাই ঘটছে। আমি নিজেও একসময় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে অনেক সময় কাটাতাম। কিন্তু এখন বুঝেছি, এটা স্রেফ সময়ের অপচয়। এটা না করে সেই একই সময় আপনি অন্য কোনো কাজে ব্যয় করতে পারেন।’