হাতের তালুতে মোবাইল ফোনের পাসওয়ার্ড

হাতের তালু পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
হাতের তালু পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

হাতের তালু স্ক্রিনের ওপর রাখলেই দরজা খুলে যাচ্ছে বা চালু হয়ে যাচ্ছে কোনো সিস্টেম। এত দিন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিতে পড়েছেন বা চলচ্চিত্রের কোনো দৃশ্যে দেখেছেন বিষয়টি। দক্ষিণ কোরিয়ার মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং তাদের ভবিষ্যৎ গ্যালাক্সি সিরিজের ফোনে এ ধরনের প্রযুক্তি যুক্ত করতে পারে।

হাতের তালুকে বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণ পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহারে একটি পেটেন্টের আবেদন করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি। ওই আবেদনে হাতের তালু স্ক্যান করে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করা যাবে। যাঁরা পাসওয়ার্ড ভুলে যান তাঁরা হাতের ছাপ দিয়ে স্মার্টফোন খুলতে পারবেন। ওই পেটেন্ট আবেদনে দেখানো হয়েছে, এক ব্যক্তি তার ভুলে যাওয়া পাসওয়ার্ড উদ্ধারে হাতের ছবি তুলছেন। হাতের ছবি দেখে স্ক্রিনে পাসওয়ার্ড পুরোপুরি দেওয়ার বদলে সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, হাতের তালু স্ক্যান করার পদ্ধতিটি গ্যালাক্সি ফোনে যুক্ত হলে বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণ পদ্ধতির তালিকায় আরও একটি পদ্ধতি যুক্ত হবে। বর্তমানে গ্যালাক্সি এস ৮ ও নোট ৮ স্মার্টফোনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানিং, আইরিশ স্ক্যানিং, ফেসিয়াল রিকগনিশন, পিন ও পাসওয়ার্ড পদ্ধতির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে।

স্মার্টফোনের বাজারে স্যামসাংয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপল তাদের আইফোন টেনে ফেসিয়াল রিকগনিশন পদ্ধতি যুক্ত করেছে। একে বলা হচ্ছে ফেস আইডি। অ্যাপল পের মতো ফিচার ব্যবহার করতে এটি কাজে লাগে। আইফোন টেনে যে সেন্সর, ক্যামেরা, চিপ ও ডট প্রজেক্টর আছে, তা অন্য আইফোনে নেই। এতে ব্যবহারকারীর মুখের ওপর ৩০ হাজার অদৃশ্য ডটের মাধ্যমে মুখের মানচিত্র তৈরি করা হয়, যা বিশেষ ইনফ্রারেড রশ্মির মাধ্যমে অন্ধকারের চেহারা চিনতে সাহায্য করে। স্যামসাং যদি হাতের তালু স্ক্যান চালু করে তবে বর্তমান প্রযুক্তি নাকি নতুন হার্ডওয়্যার লাগবে সে বিষয়টি এখনো পরিস্কার নয়। তবে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি নতুন মাত্রা যুক্ত করবে। তথ্যসূত্র: সিনেট।