চালকবিহীন গাড়ি দেখা যাবে ঢাকার রাস্তায়

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের দ্বিতীয় দিনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ। ছবি: সংগৃহীত
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের দ্বিতীয় দিনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ। ছবি: সংগৃহীত

ভবিষ্যতে ঢাকার রাস্তায় চলবে চালকবিহীন গাড়ি। এতে যানজটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এ ছাড়া প্রযুক্তির নানা উন্নয়ন ঘটবে দেশে।

আজ বৃহস্পতিবার ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের দ্বিতীয় দিন সকালে আয়োজিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আশার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

গতকাল বুধবার থেকে চার দিনব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির মেলা ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড চলছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তির বড় আসর এটি।

সম্মেলনে আজ মূল বক্তব্য উপস্থাপনায় সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জন্য উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। এ জন্য চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে এখন কথা বলার সময় এসেছে। কারণ, দ্রুত বদলে যাওয়া প্রযুক্তি মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনছে।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘সরকার বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করেছে। জনগণ তথ্যপ্রযুক্তির সুফলও ভোগ করছে। ফলে বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডেই আপনারা দেখেছেন ড্রোন, বিশ্বের উন্নত রোবট সোফিয়াকে। ভবিষ্যতে মোবাইল সুপারকম্পিউটিং, চালকহীন গাড়ি, কৃত্রিম বুদ্ধিমান রোবট, নিউরো প্রযুক্তির ব্রেন, জেনেটিক এডিটিং দেখতে পাবে। প্রযুক্তির এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জন্য আমাদের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে।’

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বর্তমানে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থেকে দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রাথমিক স্তরেও তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা দেওয়া হবে। ষষ্ঠ শ্রেণির চেয়ে প্রাথমিকে আইটি শিক্ষা শুরু করা কঠিন হবে না।
২০০৮ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হওয়ার পর বর্তমানে দেশের ৪০ শতাংশ সরকারি সেবা ডিজিটাইজড হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আগামী দিনে বেশির ভাগ সেবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হবে। ভবিষ্যতে ৮০ শতাংশ সরকারি সেবা স্মার্টফোনের মাধ্যমে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা হবে।

এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘গত নয় বছরে বাংলাদেশ দ্রুত পরিবর্তন ঘটেছে। আমরা দ্রুত এগিয়েছি। ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করছি। তরুণদের উদ্যোক্তা হতে পথ দেখাচ্ছি। পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।’


বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের কর্মকর্তা জারিফ মুনিরের সঞ্চালনায় এ সম্মেলনে কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা ডায়োডোনি কালোম্বো কোলি বাডিবাং, কম্বোডিয়ার ডাক ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী কান চানমেটা বক্তব্য দেন। এ ছাড়া সম্মেলনে ভুটানের তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী দিনা নাথ ডঙ্গায়েল, মালদ্বীপের সশস্ত্র ও জাতীয় নিরাপত্তা উপমন্ত্রী থরিক আলী লুথুফি উপস্থিত ছিলেন।