দেশের বাজারে ফিরছে ব্ল্যাকবেরি

বাংলাদেশের বাজারে ‘কি-ওয়ান’ নামের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন উন্মুক্ত করে যাত্রা শুরু করল ব্ল্যাকবেরি। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের বাজারে ‘কি-ওয়ান’ নামের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন উন্মুক্ত করে যাত্রা শুরু করল ব্ল্যাকবেরি। ছবি: সংগৃহীত

একসময়ে বাংলাদেশের বাজারে জনপ্রিয় ছিল কানাডার বিখ্যাত ব্র্যান্ড ব্ল্যাকবেরির ফোন। কিন্তু গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ বাজার থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। আজ বৃহস্পতিবার দুই সিমের ব্ল্যাকবেরি ‘কি-ওয়ান’ নামের একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে আবার ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ব্ল্যাকবেরির কাছ থেকে ব্র্যান্ড লাইসেন্স কিনে ফোন তৈরি করছে ভারতের অপটিমাস নামের প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের বাজারে নিজেদের পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলেছেন অপটিমাসের নির্বাহী পরিচালক হারদ্বীপ সিং ও ব্ল্যাকবেরির মোবিলিটি সলিউশন্সের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্স থারবার। রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন হ্যান্ডসেটের উদ্বোধন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

হারদ্বীপ সিং প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের বাজারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে অপটিমাস। ব্ল্যাকবেরির নির্দেশনায় নিজস্ব কারিগরি বিশেষজ্ঞ ব্যবহার করে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার জন্য ভারতে ফোন তৈরি করছেন তাঁরা। আগামী কয়েক মাসে সব ধরনের গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন দামের অ্যান্ড্রয়েড ফোন বাংলাদেশের বাজারে ছাড়া হবে। বর্তমানে প্রতি মাসে বাংলাদেশ প্রায় ৩০ লাখ ফোনের বাজার রয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে শুরুতে ব্ল্যাকবেরি ‘কি-ওয়ান’ নামের একটি ফোন ছাড়া হচ্ছে। যদি বাজারে গ্রাহক ধরতে পারে, তবে সারা দেশে বিক্রয়কেন্দ্র খোলা হতে পারে। আপাতত ইউনিয়ন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিপিএল ও মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে নিয়ে ফোনের বাজারে ঢুকছে ব্ল্যাকবেরি।

অ্যালেক্স থারবার বলেন, ব্ল্যাকবেরি হার্ডওয়্যার থেকে সরে বিশেষ তিনটি সফটওয়্যার সেবা নিয়ে কাজ করছে। ব্ল্যাকবেরির ব্র্যান্ড লাইসেন্স ব্যবহার করে উপমহাদেশের চারটি দেশের জন্য স্মার্টফোন তৈরি করছে অপটিমাস। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ব্ল্যাকবেরির সঙ্গে চুক্তি করে। চুক্তি অনুসারে তারা ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপালে ব্ল্যাকবেরি হ্যান্ডসেট প্রস্তুত ও পরিবেশন শুরু করেছে।

ব্ল্যাকবেরির নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম বাদ দিয়ে চলে এসেছে অ্যান্ড্রয়েডে। তবে ব্ল্যাকবেরির ফোনগুলোকে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে কাজ করা হয়েছে। ব্ল্যাকবেরির ফোনগুলো নিরাপদ এবং ব্যবহারবান্ধব। প্রতিটি স্তরের তৈরির সঙ্গে আমরা জড়িত থেকে এর মান নিশ্চিত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুল কবির বলেন, অপটিমাসের হয়ে বাংলাদেশের বাজারে ব্ল্যাকবেরি বিক্রি ও বিক্রয়োত্তর সেবা দেবে ইউনিয়ন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিপিএল। আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগাম ফরমাশ নেওয়া শুরু হচ্ছে। ২২ জানুয়ারি থেকে ব্ল্যাকবেরি কি-ওয়ানের কালো রঙের সংস্করণটি পাওয়া যাবে। দাম ৫৩ হাজার ৯৯০ টাকা। ব্ল্যাকবেরি কি-ওয়ান সংস্করণটি বাংলাদেশি গ্রাহকদের জন্য বিশেষভাবে নকশা করা। এতে ফিজিক্যাল কি–বোর্ড আছে। সাড়ে চার ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত স্মার্টফোনটিতে ৪ গিগাবাইট র‍্যাম এবং ৬৪ গিগাবাইট মেমোরি, ৩৫০৫ এমএএইচ ব্যাটারি, পেছনে ১২ ও সামনে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে।

বাংলাদেশে স্মার্টফোন কারখানা স্থাপন প্রসঙ্গে অপটিমাসের নির্বাহী পরিচালক হারদ্বীপ সিং জানান, ‘আমরা এখন যাত্রা শুরু করেছি। গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনে বিষয়টি ভেবে দেখা যাবে।’