কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিবর্তন আনবে স্মার্টফোনের ব্যবহারে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে গবেষণা চলছে অনেক দিন ধরে। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সফলতা তখনই নজরে আসবে, যখন এর ব্যবহার হাতে হাতে দেখা যাবে। অর্থাৎ মুঠোফোনে এআইয়ের ব্যবহার বাড়লে এর সফলতা চোখে পড়বে। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তি গবেষকেরা ২০১৮ সালকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মোড় ঘোরার বছর হিসেবে দেখছেন। এই প্রতিবেদনে থাকছে এআই প্রযুক্তির ৫টি বিষয়ের কথা, যেগুলো মুঠোফোনের ব্যবহারের পরিবর্তন আনবে।

ক্যামেরায় বস্তু শনাক্তকরণের উন্নত পদ্ধতি

মুঠোফোনের ক্যামেরায় বস্তু শনাক্তকরণ প্রযুক্তি বেশ পুরোনো। কিন্তু এআই প্রযুক্তি এই পদ্ধতিকে আরও উন্নত করবে। ফলে ক্যামেরা ফ্রেমে প্রাকৃতিক দৃশ্য, খাবার নাকি আতশবাজি থাকছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত হবে এবং সে অনুযায়ী ক্যামেরা সেটিংস পরিবর্তন হবে। তা ছাড়া এআই মুখমণ্ডল শনাক্তকরণের মাধ্যমে পোর্ট্রেট ছবিকে আরও উন্নত করতে পারবে।

তাৎক্ষণিকভাবে ভাষান্তর

এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করবে এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে। যেগুলোতে একটি ভাষায় লেখা পৃষ্ঠার ছবি তুললে তা অনুবাদ করে দেবে। তবে সে ক্ষেত্রে ছবি আপলোড, বিশ্লেষণ এবং অনুবাদ করতে ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে একসঙ্গে একাধিক ভাষা অনুবাদ করা যাবে, তা–ও আবার ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই।

সাহায্য করবে প্রতিদিনকার কাজে

এআই প্রযুক্তি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যা একই সঙ্গে শিখতে এবং তা মনে রাখতে সক্ষম। ফলে এআই প্রতিদিনকার কার্যবিধি শিখে নেবে এবং তা সে অনুসারে প্রয়োগ করতে থাকবে। অফিসে যাওয়ার আগে ফোন বন্ধ করতে হবে, নাকি সাইলেন্ট অথবা কখন ব্লুটুথ অন করতে হবে কিংবা নির্দিষ্ট সময় পরপর ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান অ্যাপগুলো বন্ধ করতে হবে, তা এআই নিয়ন্ত্রণ করবে। বলা যায়, এআই দৈনন্দিন কাজ দেখে দেখে শিখে থাকে।

চেহারা চেনা

ফেস আইডি ব্যবহার করে ফোন আনলক করার জন্য অ্যাপল তাদের আইফোন টেনে এআইভিত্তিক অ্যালগরিদম ব্যবহার করেছে। মূলত আইফোন টেনের যন্ত্রাংশ সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে, যাতে এআই ব্যবহার করে ফেস আইডির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। আর এআই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চেহারার কিছু পরিবর্তন যেমন দাড়ি বা চোখে চশমা পরলেও ফেস আইডি সঠিকভাবেই শনাক্ত করতে পারে।

কণ্ঠ সহকারী

সিরি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, কর্টনা এবং অ্যালেক্সার কথা আমাদের সবারই মোটামুটি জানা। সবই কণ্ঠ সহকারী, যা এআই ব্যবহারের মাধ্যমে কী বলা হচ্ছে তা শনাক্ত করে থাকে। বর্তমানে কণ্ঠনির্ভর কাজগুলো আরও উন্নত হয়েছে। এআই প্রযুক্তির কারণে এখন এসব সহকারী শুধু প্রশ্নের উত্তরই দিয়ে থাকে না, এর পাশাপাশি অনলাইনে কোনো কিছুর ফরমাশ করা, নির্দিষ্ট কিছু গান খোঁজ করা, এমনকি কোনো বার্তা লেখার কাজটিও করতে সক্ষম।

মারিফুল হাসান, সূত্র: গ্যাজেটস নাউ