মোবাইলের সামনে ও পেছনে কাচ

দামি স্মার্টফোনগুলোর পেছনে অংশ তৈরিতে কাচ ব্যবহার চল শুরু হয়েছে।
দামি স্মার্টফোনগুলোর পেছনে অংশ তৈরিতে কাচ ব্যবহার চল শুরু হয়েছে।

দামি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলোর পেছনে কাচ (গ্লাস ব্যাক প্যানেল) ব্যবহার করা এখন অনেকটাই রীতিতে পরিণত হয়েছে। আর ২০১৮ সালে সে রীতি একটু বেশিই দেখা যাবে। কারণ, বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত যেসব ফ্ল্যাগশিপ ফোন বাজারে এসেছে এবং আসার কথা আছে, সেগুলোর প্রায় সবগুলোতেই পেছনে কাচ ব্যবহার করা হয়েছে।

নকিয়া ৮ সিরোকো, স্যামসাংয়ের এস ৯ ও এস ৯ প্লাস, সনির এক্সপেরিয়া এক্সজেড ২, জেডটিইর সর্বশেষ ব্লেড ভি৯-সহ আসুসের জেনফোন ৫-এর পেছনে কাচ ব্যবহার করা হয়েছে। তা ছাড়া গত বছরে বাজারে আসা এলজি ভি৩০ এবং হুয়াওয়ের মেট ১০ ও মেট ১০ প্রোর পেছনের অংশটি কাচের তৈরি। ফলে সামনের দিনগুলোতে যেসব ফোন আসবে, সেগুলোর আগাগোড়া সম্পূর্ণ কাচে মোড়া থাকবে এমনটা আশা করাই যায়।

এবারের মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে এলজির যে জি৭ ফোনটি উন্মুক্ত করা হয়েছে, সেটির পেছনের অংশে কাচ আছে। হুয়াওয়ে এবং ওয়ান প্লাসের আসন্ন নতুন ফোনের ফাঁস হওয়া ছবিতেও একই চিত্র দেখা গেছে। ফলে ধাতব কাঠামো হিসেবে অ্যালুমিনিয়ামের জায়গা এখন নিচ্ছে কাচ। যদিও অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে তুলনা করলে কাচ অনেকটাই ভঙ্গুর। তারপরও কাচ ব্যবহারের কারণ রয়েছে।

কারণ, কাচের নকশায় স্মার্টফোন দেখতে আরও আকর্ষণীয় হয়। কেউ কেউ মনে করেন, এক হাজার ডলারের বেশি খরচ হওয়া মুঠোফোনে গ্লাস বিলাস বহুলতার প্রতীক। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তারহীন চার্জিং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গ্লাস বেশি উপযোগী। তা ছাড়া ওয়াইফাই, ফোর-জি ইন্টারনেট এবং ব্লু-টুথ ফোনের পেছনের অংশে আলাদাভাবে জুড়ে দেওয়া অ্যানটেনার চেয়ে কাচ ভালো কাজ করে।

মূল সমস্যা হলো কখনো যদি হাত থেকে পড়ে ফোনের ব্যাক প্যানেল ভেঙে যায় তাহলে তা বদলিয়ে নিতে বেশ খরচ হবে। যেমন অ্যাপল কেয়ার প্লাস সুবিধা না থাকলে আইফোন টেনের গ্লাস ব্যাক বদলিয়ে নিতে গুনতে হবে ৫৪৯ ডলার। সূত্র: দ্য ভার্জ