বানরও যা পারে

ম্যাকক প্রজাতির বানর
ম্যাকক প্রজাতির বানর

এত দিন যে বৈশিষ্ট্য শুধু মানুষ আর শিম্পাঞ্জির মধ্যে ‘বিশেষ’ বলে ভাবা হচ্ছিল, তা এখন দেখা গেল বুনো ম্যাকক প্রজাতির বানরের মধ্যেও। আজ বুধবার গবেষকেরা জানিয়েছেন, বুনো ম্যাকক বানরের মধ্যে তাঁরা বিভিন্ন যন্ত্র বা পদ্ধতি ব্যবহার করার বিষয়টি শিখতে দেখেছেন। ছোটখাটো এসব হাতিয়ার ব্যবহার করে তারা বাদামের খোসা ভাঙে বা ঝিনুকের ভেতরের নরম অংশ চুষে খেতে পারে।

যুক্তরাজ্য ও থাইল্যান্ডের গবেষকেরা লম্বা লেজযুক্ত ম্যাকক নিয়ে গবেষণা করেন। এসব বানর কাঠবাদাম, পামবাদাম ও বিশেষ ধরনের সামুদ্রিক ঝিনুক খায়। গবেষকেরা বানরগুলো কীভাবে পাথর ব্যবহার করে নির্দিষ্ট দুটি কাজ করে, তা পর্যবেক্ষণ করেন। তাঁরা দেখেন, দুই কেজি বা ততোধিক ওজনের পাথর বাদাম ভাঙতে হাতুড়ির মতো কাজে লাগায় ম্যাকক বানরগুলো। অন্যদিকে, ছুরির মতো ধারালো পাথরগুলো বেছে নিয়ে ঝিনুক খেতে ব্যবহার করে তারা।

রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাবিষয়ক এই নিবন্ধ।

থাইল্যান্ডের পিয়াক নাম ইয়াই দ্বীপে এ গবেষণার আগে ধারণা করা হতো, কেবল বুনো শিম্পাঞ্জিরা পাথর কাজে লাগায়।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক থমাস প্রফিট বলেছেন, তাঁদের এ গবেষণা বানর প্রজাতির নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যাপক কাজে লাগবে। কেবল মানুষ আর শিম্পাঞ্জি নয়, বানরও যে ছোটখাটো হাতিয়ার ব্যবহার করতে পারে—এ বিষয়টি বুঝতে সহায়তা করবে।

২০১৬ সালে ব্রাজিলের গবেষকেরা দেখেন, আদিম মানুষের মতো কাপুচিন বানর পাথর ব্যবহার করে স্ফুলিঙ্গ তৈরি করতে পারে।

গবেষক প্রফিট বলেন, বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার অবশ্য বানরের জিনগত নয়; অনেক দিনের পর্যবেক্ষণে তারা এগুলো আয়ত্ত করে নিতে শেখে।