ফেসবুক আবার কী!

টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক
টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক

ফেসবুকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এখন। বিশেষ করে ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত হওয়ার পর থেকে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে চলছে ‘ডিলিট ফেসবুক’ নামের বিশেষ কর্মসূচি। এতে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন স্পেস এক্স ও টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক। প্রযুক্তি উদ্যোক্তা হিসেবে খ্যাত এলন মাস্ক গতকাল শুক্রবার স্পেস এক্স ও টেসলার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ মুছে ফেলেন। টুইটার ব্যবহারকারীদের চ্যালেঞ্জের মুখে মুহূর্তেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন।

এক টুইটার ব্যবহারকারী এলন মাস্কের উদ্দেশে টুইট করেন, ‘আপনি যদি সেই ব্যক্তি হন, তবে স্পেস এক্স পেজ মুছে দেখাতে পারবেন?’ তাঁর টুইটের জবাবে মাস্ক বলেন, ‘ফেসবুকে যে তাঁদের অ্যাকাউন্ট আছে, তা বুঝতেই পারেননি তিনি। অবশ্যই মুছে ফেলবেন।’

এরপর থেকে লাখো অনুসারীর পছন্দের টেসলা ও স্পেস এক্সের পেজ ফেসবুকে আর দেখা যাচ্ছে না।

এর আগে হোয়াটসঅ্যাপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাকটন ডিলিট ফেসবুকের পক্ষে দাঁড়ান। উল্লেখ্য, হোয়াটসঅ্যাপকে কিনে নিয়েছে ফেসবুক।

ব্যবহারকারীদের তথ্য বেহাত হওয়ার খবর শোনার পর থেকে ১৭ মার্চ থেকে ক্ষুব্ধ ব্যবহারকারীরা টুইটারে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের একটি রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফেসবুক থেকে তথ্য হাতিয়ে ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনের সময় ট্রাম্প শিবিরের পক্ষে কাজে লাগায়।

মাস্ক টুইট করেছেন, ‘ফেসবুক, সেটা আবার কী? আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই এবং ব্যবহার করি না। সুতরাং, আমার বা আমার প্রতিষ্ঠানের কোনো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কম। আমরা প্রচারের জন্য কোনো বিজ্ঞাপন দিই না।’

এর আগে জাকারবার্গ ও এলন মাস্কের মধ্যে কিছু বিষয়ে মতের অমিল দেখা যায়। গত বছর রোবটের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে এলন মাস্ক আর মার্ক জাকারবার্গের অবস্থান বরাবরই বিপরীতমুখী। এই বিষয়ে সরাসরি নিজেরাই তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

এ নিয়ে টেসলার প্রধান মাস্কের অবস্থানকে ‘দায়িত্বহীন’ বলে আখ্যা দেন জাকারবার্গ। জবাবে ‘এ খাতে জাকারবার্গের জ্ঞানে সীমাবদ্ধতা রয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন মাস্ক। তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও সিএনবিসি।