সেলফি এক্সপার্ট সিরিজের নতুন স্মার্টফোন অপো এফ৭

অপো এফ৭ ক্যামেরা
অপো এফ৭ ক্যামেরা


প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির এফ সিরিজের নতুন সংস্করণ অপো এফ৭। সেলফি এক্সপার্ট সিরিজের সর্বশেষ সংস্করণ হিসেবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) সমৃদ্ধ এই হ্যান্ডসেট স্মার্টফোনপ্রযুক্তিতে নতুন মাত্রা এনেছে। সেলফি ফটোগ্রাফিকে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এ ফোন। ফোনটি বিভিন্ন ফিচার নিয়ে এ পর্যালোচনা:

ফোনটির নকশা স্মার্টফোনপ্রেমীদের পছন্দ হতে পারে। অ্যালুমিনিয়াম কাঠামোর স্মার্টফোনটি ধরার অনুভূতি অসাধারণ। তবে ফোনটিকে অপো এফ৫-এর আপগ্রেড সংস্করণ বলা যায়। পেছনের নকশায় তেমন পরিবর্তন হয়নি। সামনে দিকে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ওপর, ডান ও বাঁ পাশে বেজেল কমিয়ে ডিসপ্লেতে দেওয়া হয়েছে নচ, যার মাঝখানে আছে ইয়ারপিস আর সেলফি ক্যামেরা। ফোনটির ডান পাশেই আছে পাওয়ার বাটন, সিম ও মেমোরি কার্ড স্লট, ভলিউম বাটন আছে বাঁ পাশে। নিচে দেওয়া হয়েছে হেডফোন জ্যাক, মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট আর স্পিকার। কোনো ক্যাপাসিটিভ বাটন নেই। পেছনের বাঁ কোনায় দেওয়া হয়েছে ব্যাক ক্যামেরা, তার পাশে আছে এলইডি ফ্ল্যাশ। ওপরের মাঝ বরাবর আছে লম্বাটে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।

নচযুক্ত ৬ দশমিক ২৩ ইঞ্চি, আইপিএস এলসিডি প্যানেল ডিসপ্লের কালার ও ব্রাইটনেস সন্তোষজনক। প্যানেলটির রেজুলেশন দেওয়া হয়েছে ২২৮০ বাই ১০৮০ পিক্সেল, অনুপাত দেওয়া হয়েছে ১৯: ৯। ডিসপ্লেটি অন্যান্য ফোনের মতো ১৮: ৯ না করে ১৯: ৯ করার ফলে নচ শুধু স্ট্যাটাসবার পর্যন্তই থাকবে, অ্যাপের কোনো অংশ ঢাকা পড়বে না।

মিডিয়াটেক হেলিও পি৬০ প্রসেসরের ফোনটিতে দেওয়া হয়েছে কালার ওএস৫, যা তৈরি করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ ওরিও কাস্টমাইজ করে। ফলে ফোনটির পারফরম্যান্স বেশ ভালো।

অপো এফ৭
অপো এফ৭

সেলফি ক্যামেরা ফোনটির মূল আকর্ষণ। তবে হালের পেছনে দুই ক্যামেরার টেন্ডের সঙ্গে যায়নি অপো। পেছনের ক্যামেরার রেজুলেশন দেওয়া হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেল, আর অ্যাপার্চার এফ/১.৮। স্বল্প আলোতেও ক্যামেরাটি সুন্দর ছবি ধারণ করতে পারে। পেছনে ক্যামেরা একটি হলেও পোর্ট্রেট মোড বাদ পড়েনি। পেছনের ক্যামেরার মূল দুর্বলতা কোনো প্রকার স্ট্যাবিলাইজেশন না থাকায় ধারণকৃত ভিডিওতে প্রচুর ঝাঁকুনি আর ভিডিওর রেজুলেশন সর্বোচ্চ ১০৮০ পিক্সেল ফুল এইচডি। সেলফি ক্যামেরার রেজুলেশন দেওয়া হয়েছে ২৫ মেগাপিক্সেল, যার অ্যাপার্চার এফ/২.০।

ফোনটিতে ডুয়াল স্পিকার নেই। ক্যামেরাকেন্দ্রিক ফোন হওয়ায় অপো সাউন্ডের দিকে বিশেষ জোর দেয়নি। এ ছাড়া এতে ফোরকে ভিডিও অপশন নেই, ক্যামেরাতে স্ট্যাবিলাইজেশন নেই, এমনকি ফাস্ট চার্জিং নেই।

ফোনটি ৪ ও ৬ গিগাবাইট র‍্যামের সংস্করণে বাজারে পাওয়া যায়। ৬৪ ও ১২৮ গিগাবাইট স্টোরেজ সংস্করণ, মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট সুবিধার ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩২০০ এমএএইচ ব্যাটারি, যা ননরিমুভেবল। এতে ফোরজি ন্যানো সিম সমর্থন করে। এর দাম ২৯ হাজার ৯৯০ টাকা।