ভুয়া খবর ছড়ানোয় ফেসবুক-টুইটারকে দায়ী করলেন বিল গেটস

বিল গেটস। ছবি: রয়টার্স
বিল গেটস। ছবি: রয়টার্স

মহামারির সময় কোভিড-১৯ নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর দোষ চাপিয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। এবারের কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে তাঁকে কেন্দ্র করে অনেক ষড়যন্ত্রতত্ত্ব অনলাইনে চাউর হয়েছে। যদিও এসব ‘আজেবাজে’ কথা তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন, তবু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা চলছেই। 

মার্কিন ব্যবসাবিষয়ক ম্যাগাজিন ফাস্ট কোম্পানিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিল গেটস বলেছেন, ‘এসব বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম কি অনেক বেশি সাহায্য করতে পারে? আমাদের এ ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা কি আছে? দুঃখজনকভাবে এসব ডিজিটাল টুল সম্ভবত আমাদের দৃষ্টিতে পাগলামি সব ধারণা ছড়ানোর জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।’

বিল গেটস বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়ানো পাগলামি ধারণার মধ্যে রয়েছে নানা ভুয়া তথ্য, যা মানুষকে মাস্ক না পরার ব্যাপারে উৎসাহ দেয় বা রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ভ্যাকসিন সম্পর্কে সন্দেহতত্ত্ব তৈরি করে।’

গেটস বলেন, ‘সন্দেহতত্ত্ব রূপে অনেক কিছু আসে। কেউ কেউ তাতে সন্দেহের গন্ধ খোঁজেন। কেউ কেউ আমার নাম পর্যন্ত এর কেন্দ্রে এনেছেন। তাই এটি ভীতিজনক।’

বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে কানাডার ভ্যাংকুভারে এক সম্মেলনে বিল গেটস স্টেজে উঠে এক মারাত্মক সতর্কতা জারি করেন। সেই ভিডিও ঘিরেই এখন ছড়িয়েছে নানা তত্ত্ব।

বিল গেটস ওই সময় বলেছিলেন, ‘আগামী কয়েক দশকে যদি কোনো কিছু এক কোটির বেশি মানুষকে হত্যা করে, তবে তা যুদ্ধের চেয়েও অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

ফার্স্ট ড্রাফট নিউজের ফ্যাক্ট-চেকার ররি স্মিথ বলেছেন, ‘বিল গেটসকে ঘিরে অগণিত ষড়যন্ত্রতত্ত্ব রয়েছে। তিনি অনেকটাই ভুডুর পুতুলের মতো, যাঁকে ঘিরে একেক সম্প্রদায় নিজেদের ষড়যন্ত্রতত্ত্ব নিজেদের মতো করে ছড়াচ্ছে। অবশ্য তাঁর ভুডু পুতুল হওয়া খুব বিস্ময়কর নয়, কারণ তিনি সব সময় জনস্বাস্থ্য নিয়ে সামনে এসেছেন।’

গত এপ্রিল মাসে সিসিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিল গেটস বলেছিলেন, ‘আমরা একটি আমরা একটি উদ্ভ্রান্ত পরিস্থিতিতে রয়েছি বলে পাগলামি গুজব ছড়াচ্ছি। এ ক্ষেত্রে সেরা সম্পদ, বিশেষজ্ঞ, ভ্যাকসিন নির্মাতা ও ওষুধ উৎপাদনকারীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

বিল গেটসের সমালোচনা প্রসঙ্গে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বৈশ্বিক এ সমস্যা মোকাবিলায় তাঁদের উদ্যোগের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘জানুয়ারি মাস থেকে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সিডিসির মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে মানুষকে সঠিক তথ্য জানানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’