প্রযুক্তির চমক নিয়ে শুরু ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৪

সংযোজিত বাস্তবতা (অগমেন্টেড রিয়ালিটি) নামের এক প্রযুক্তি৷ নির্ধারিত একটি পটভূমির সামনে ছবি তুললে সেই ছবিতে দেখা যাবে বিখ্যাত কারও সঙ্গে রয়েছেন আপনি৷ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিল গেটস, স্টিভ জবস ও মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ আছে৷ গতকাল মেলা উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছবি তোলেন৷ এ প্রযুক্তি সহযোগিতা দিচ্ছে ম্যাগনিটো ডিজিটাল
সংযোজিত বাস্তবতা (অগমেন্টেড রিয়ালিটি) নামের এক প্রযুক্তি৷ নির্ধারিত একটি পটভূমির সামনে ছবি তুললে সেই ছবিতে দেখা যাবে বিখ্যাত কারও সঙ্গে রয়েছেন আপনি৷ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিল গেটস, স্টিভ জবস ও মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ আছে৷ গতকাল মেলা উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছবি তোলেন৷ এ প্রযুক্তি সহযোগিতা দিচ্ছে ম্যাগনিটো ডিজিটাল

উদ্বোধন ঘোষণা করার ধরনটাই ছিল অভিনব। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমের মঞ্চে বসে ডিজিটাল কলম দিয়ে ট্যাবলেট কম্পিউটারে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৪ মেলার উদ্বোধনের ঘোষণা লিখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেশ করতালি পড়ল হলে৷ মাথা ঘুরিয়ে ওপরে তাকিয়ে দেখা গেল, ভবনটির গম্বুজের গায়ে লেজার রশ্মি দিয়ে লেখা হয়েছে ‘শুভ উদ্বোধন। শেখ হাসিনা।’ প্রধানমন্ত্রীর নিজের হাতের লেখা ও সই!
আধুনিক প্রযুক্তির নানা চমক নিয়ে গতকাল বুধবার থেকে শুরু হয়েছে চার দিনের এই আয়োজন৷ ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৪’ কে বলা হচ্ছে দেশের এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তির আয়োজন। এর আয়োজক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং সফটওয়্যার ব্যবসা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
মেলার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা রপ্তানির আয় এখনকার ১০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত করতে চাই।’ তিনি জানান, দেশে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে, আর মোবাইল সিমকার্ড ব্যবহৃত হয় সাড়ে ১১ কোটি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪০ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘একটা সময় ভাবা হতো, তথ্যপ্রযুক্তি শুধু সংযোগের কাজেই ব্যবহৃত হবে। এখন আমরা এই প্রযুক্তিকে উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পেরেছি।’
পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদকে ফাইবার অপটিক কেব্ল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার কাজ চলছে বলে উল্লেখ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ, বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান ও ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের প্রধান প্রকল্প কর্মকর্তা রাসেল টি আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়ে গেলে দুপুর ১২টার পর সবার জন্য খুলে দেওয়া হয় মেলা প্রাঙ্গণ। এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজনে তিনটি মেলার সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাত নিয়ে চলছে সফটএক্সপো, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে ই-গভর্নেন্স এক্সপো এবং তরুণ প্রজন্মের তৈরি অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে মোবাইল ইনোভেশন এক্সপো।
মেলায় প্রতিদিনই থাকছে সেমিনার ও কারিগরি অধিবেশন। এসব আয়োজনে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ বক্তারা অংশ নেবেন। এ ছাড়া আছে তথ্যপ্রযুক্তির চাকরি মেলা। এ মেলা চলবে ৭ জুন পর্যন্ত।