বড় পরিসরে 'বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক ২০১৫ '

‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক ২০১৫’ এর সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বেসিসের সৌজন্যে।
‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক ২০১৫’ এর সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বেসিসের সৌজন্যে।

প্রতিবছর এক কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক তৈরির লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক ২০১৫ ’। বড় তিনটি এক্সপোসহ বাংলাদেশের ৪৮৭টি উপজেলায় একযোগে পালিত হবে এ উৎসব। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স কোম্পানি, মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান, ওয়েব পোর্টাল, ডিভাইস কোম্পানিসহ ইন্টারনেটভিত্তিক পণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর দ্য ওয়েস্টিনের বলরুমে ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক’ উপলক্ষে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়।
আগামী ৫ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর হতে যাওয়া এই উৎসব আয়োজন করছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), গ্রামীণফোন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।
বেসিস সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বক্তব্য রাখেন গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, ইন্টারনেট উইক ২০১৫ এর আহ্বায়ক রাসেল টি আহমেদ। এ ছাড়া বেসিসের সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, মহাসচিব উত্তম কুমার পাল, যুগ্ম-মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, কোষাধ্যক্ষ শাহ ইমরাউল কায়ীশ, পরিচালক আশ্রাফ আবির, সামিরা জুবেরি হিমিকা, আরিফুল হাসান, নির্বাহী পরিচালক সামি আহমেদসহ গ্রামীণফোন ও আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ বলেন, সরকার দেশের ইন্টারনেটের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় তথ্যপ্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিতে ২০১৮ সাল নাগাদ প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ ছাড়া ইন্টারনেট ব্র্যান্ড উইথের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক সাশ্রয়ী করা হয়েছে। বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইকের মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে। বিশ্বে একসঙ্গে প্রায় ৪৮৭ জায়গায় এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের নজির এখনো নেই। সরকারি-বেসরকারি যৌথ এই আয়োজন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রাখবে।
বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান বলেন, সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ আয়োজনে বেসিসের সদস্যভুক্ত কোম্পানিসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবা সাধারণের সামনে তুলে ধরতে পারবে। এতে একদিকে যেমন সাধারণ জনগণকে ইন্টারনেটের প্রতি আগ্রহী করা হবে, অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবার প্রসার বাড়বে।
গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রায় ইন্টারনেট এখন প্রয়োজনীয় উপকরণ। বেসিসের ‘ওয়ান বাংলাদেশ’ রূপকল্প ও গ্রামীণফোনের ‘ইন্টারনেট ফর অল’ প্রোগ্রামের অন্যতম লক্ষ্য সারা দেশে ৫ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তৈরিতে বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
আয়োজকেরা জানান, ইন্টারনেট উৎসবের অংশ হিসেবে ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার এবং দেশের গণমাধ্যমগুলোতে অন্তত সাতটি পলিসি বৈঠকের আয়োজন করা হবে। আগামী ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বনানী মাঠে, ৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর নানকিন বাজারে ও ১১ সেপ্টেম্বর সিলেটের সিটি ইনডোর স্টেডিয়ামে বৃহৎ পরিসরে বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া ৫ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর দেশের ৪৮৭টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে একযোগে এই উৎসব পালন করা হবে।
বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.bangladeshinternet.org ও ফেসবুক পেজ www.facebook.com/BDInternetWeek থেকে এই উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।