উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্জন

.
.

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা এসিএম আইসিপিসি ২০১৬-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানই যেন ছিল বাংলাদেশের। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে থাইল্যান্ডের ফুকেটে এসিএম আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বের এই অনুষ্ঠানে সম্মাননা ও পুরস্কার পান তিন বাংলাদেশি শিক্ষক। আঞ্চলিক আইসিপিসি আয়োজনে বিশেষ অবদানের জন্য নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আবুল এল হককে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়। সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহরিয়ার মঞ্জুর এবার নিয়ে ১৪ বার এসিএম আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বের বিচারক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। মোট পাঁচবার চূড়ান্ত পর্বে সেরা প্রশিক্ষকের (কোচ) পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা দলের কোচ শহীদুল ইসলাম। তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, আইসিপিসির প্রতিযোগী ও কোচ ছিলেন।
আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা—আইসিপিসির আবহ সংগীত ও থাইল্যান্ডের জাতীয় সংগীত দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এরপর আইসিপিসির নির্বাহী পরিচালক বিল পাউচার স্বাগত বক্তব্য দেন। প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী প্রাজিন জুনতং। অনুষ্ঠানে এসিএমের (অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি) প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার উলফ, স্বাগতিক প্রিন্স অব সংক্লা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও প্রতিযোগিতার পরিচালক চুসাক লিমসাকুলসহ অনেকে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এবারের আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বে বিশ্বের ১২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামিং দল অংশ নিচ্ছে। প্রতি দলে তিনজন প্রোগ্রামার এবং ন্যূনতম একজন করে কোচ রয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি দল এতে অংশ নিচ্ছে।
গতকাল ছিল উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা। বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা দিন কাটিয়েছেন সমুদ্রসৈকত ঘুরে ও খেলাধুলার মধ্য দিয়ে। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে প্রস্তুতিমূলক প্রতিযোগিতা বা মক কনটেস্ট। আগামীকাল হবে এসিএম আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বের মূল প্রতিযোগিতা।
আইবিএম টেকট্রেক: গতকাল সকালে ছিল পৃষ্ঠপোষক আইবিএমের আয়োজনে টেকট্রেক অনুষ্ঠান। এতে উপস্থিত ছিলেন আইবিএমের শীর্ষ বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদেরা। তাঁরা ইন্টারনেট অব থিংস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ডেটা অ্যানালাইটিকস ও কগনিটিভ সায়েন্স নিয়েই তাঁরা মূলত কথা বলেন। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিভিত্তিক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র স্টার ওয়ার্স-এর আদলে অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়।