বন্যার্তদের পাশে প্রথম আলো ট্রাস্ট

বন্যার কারণে দেশব্যাপী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে যখন বন্যা শুরু হয়, তখন থেকেই প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে বন্ধুসভার ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে।

 দুর্গত এলাকা ঘুরে বর্তমানে কী প্রয়োজন তা নির্ধারণের জন্য ত্রাণ বিতরণ আপাতত বন্ধ থাকবে। ৯, ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর আরও ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার ত্রাণ বিতরণ করা হবে বলে ট্রাস্ট সূত্রে জানা গেছে।

জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, সামিট করপোরেশন লিমিটেড, কাজী আইটি সেন্টার লিমিটেড, আউচান ইন্টারন্যাশনাল ঢাকা লেইসন অফিস, বাংলাদেশ পাইপ অ্যান্ড টিউবওয়েল মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা লেডিস ক্লাব, চট্টগ্রাম থেকে নাজিম উদ্দিন, ফকরুদ্দীন টেক্সটাইল মিলস, প্রথম আলোর সব শাখার কর্মীদের এক দিনের বেতনসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় এই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত প্রথম আলো ট্রাস্ট ত্রাণ তহবিলে জমা পড়েছে মোট ৬৬ লাখ ৮৬ হাজার ১৬৯ টাকা। ২২ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে মোট ৭০ লাখ ১৬ হাজার ৭৩৩ টাকার ত্রাণসামগ্রী। দেশের ২৯টি জেলায় মোট ১৯ হাজার বন্যাদুর্গত পরিবার এই সহায়তা পেয়েছে।

কয়েকটি ধাপে এই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শুকনা খাবার, চাল, ডাল, গুড়, মুড়ি, চিড়া, খাওয়ার স্যালাইন, ফিনাইল, ব্লিচিং পাউডার, পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে দুর্গত এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে চিকিৎসাসহায়তা ও ওষুধপথ্য দেওয়া হয়েছে।

ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকার বন্যার্ত সম্বলহীন মানুষের মধ্যে সেমাই, চিনি, গুঁড়া দুধ, মসলা, শাড়ি, লুঙ্গি ও শিশুদের পোশাক বিতরণ করা হয়েছে।

বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি অনেকটা নেমে গেছে। তাই আমন ধান লাগানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ত্রাণ বিতরণের এই
ধাপে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে ধানের চারা, বিভিন্ন সবজির বীজ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গৃহহীন ব্যক্তিদের মাঝে ঢেউটিন দেওয়া হয়েছে ও ঘর তৈরি করে হস্তান্তর করা হয়েছে।

যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে, তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।