লালমনিরহাট, খুলনা ও রাঙামাটিতে কম্বল পেলেন ৫১৫ জন

লালমনিরহাট, খুলনা ও রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে দুস্থ শীতার্ত মানুষ ও শিক্ষার্থীদের ৫১৫টি কম্বল দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ২৪০টি, রাঙামাটিতে ১৭৫টি ও লালমনিরহাটে ১০০টি কম্বল দেওয়া হয়। প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা কম্বল বিতরণে সহায়তা করেন।

খুলনা অফিস, লালমনিরহাট বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

গতকাল রোববার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নে ৫০টি এবং বড়বাড়ী ইউনিয়নে ৫০টি কম্বল দেওয়া হয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আজিজার রহমান, বন্ধুসভার বাদশা আলম, শরিফা খাতুন, জাহিদুল ইসলাম ও লুৎফর রহমান এবং প্রথম আলোর লালমনিরহাট প্রতিনিধি আবদুর রব উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা আজিজার রহমান বলেন, প্রথম আলো শুধু যে একটি খবরের কাগজ নয়, বরং একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠানও, সেটাই তাদের এই কাজের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার খুলনার দাকোপের সুতারখালি পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৬২টি কম্বল দেওয়া হয়। কম্বল পেয়ে সুতারখালি গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৭০) বলেন, ‘কম্বল পাইয়ে একন আর শীতি কষ্ট করা ল্যাগবে না।’ এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজয় রায়, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ননী গোপাল বৈদ্য, ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য সুলতানা সরদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার পাইকগাছার হরিঢালী ইউনিয়নের হরিদাসকাঠি গ্রামে ৬৩টি কম্বল দেওয়া হয়। এ সময় হরিদাসকাঠি স্পোর্টিং ক্লাবের শেখ শাহানুজ্জামান, খান জাবেল হোসেন, শেখ সাহান আবদুল্লাহ, শেখ আবদুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার ডুমুরিয়ার খর্নিয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কম্বল দেওয়া হয় ৫০টি। এ সময় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নওশের আলী মোড়ল, শিক্ষক এস এম নুরুল ইসলাম, আলতাপ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সোনামুখ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কম্বল বিতরণে সহায়তা করে।

রাঙামাটির সদর ও কাপ্তাইয়েও কম্বল দেওয়া হয় শনিবার। কাপ্তাইয়ের ব্যাঙছড়ি ইউনিয়নের স্কুলপাড়া, পুরাতনপাড়া, কপলাপাড়া ও নয়াপাড়া এবং চিৎমরং ইউনিয়নের উজানছড়ি গ্রাম, বগাচর গ্রাম, ওয়াগ্গা চা-বাগান ও ফুক্তাছড়ি গ্রামে কম্বল দেওয়া হয়। এ সময় ইউপি সদস্য সা থোয়াই প্রু মারমা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের ফুরোমনপাড়ায় ৩০টি পরিবারকে কম্বল দেওয়া হয়।