মাশরাফির সব পরিকল্পনা এখন ওয়ানডেতে

শাহজালাল বিমানবন্দরে পা রাখার পরই ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। শুধু মাশরাফি নন, আজ বিমানবন্দরে দলের সব খেলোয়াড়কেই ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। সাফল্য নিয়ে দেশে ফেরা দলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হবে এটি আর নতুন নেই। 

কিন্তু মাশরাফির হাতে ফুল দেখেই প্রশ্নটা উঠল, এটা কি মাশরাফির আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ‘বিদায় সংবর্ধনা’? দলের সঙ্গে থাকা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন বললেন, ‘জানি না ফুল কীসের জন্য! শ্রীলঙ্কার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আমরা হেরে (সিরিজ) আসিনি। হয়তো সে কারণেই ফুল দেওয়া। আর আমাদের দুই অধিনায়কও এখানে আছে।’
বিমানবন্দরে নেমে বাংলাদেশ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাশরাফি আর টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম দুজনই পাশাপাশি বসে কথা বললেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। ২০০৬ সালের নভেম্বর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর ১১ বছর কেটেছে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ সমীহ জাগানো দল হলেও টি-টোয়েন্টিতে এখনো প্রত্যাশানুযায়ী সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ।
সাফল্য না পেলেও দলের উন্নতি নিয়ে সন্তুষ্ট মাশরাফি, ‘টানা আট টি-টোয়েন্টি হেরেছি। তবে দুই বছর আগের চেয়ে আমরা এখন অনেক উন্নতি করেছি। হয়তো ছোট ছোট ভুলে হেরেছি। শেষ নয়টা ম্যাচের অন্তত চার-পাঁচটা জেতা উচিত ছিল আমাদের। সামনে টি-টোয়েন্টিতে আমরা আরও ভালো করব আশা করি।’
তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে খানিকটা অতৃপ্তি আছে মাশরাফির। সামনে বড় টুর্নামেন্ট আসছে। মাশরাফির সব পরিকল্পনাও এখন ওয়ানডে ঘিরে, ‘ওয়ানডে সিরিজটা ২-০ ব্যবধানে (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) জিততে পারলে ভালো লাগত। যে ভুলগুলো হয়েছে, আয়ারল্যান্ড ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব। ওখানে ভিন্ন উইকেটে খেলা হবে। পরিকল্পনা করেই নামতে হবে এবং সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে।’
টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক ভীষণ খুশি শততম টেস্ট জিততে পেরে, ‘এই বছর আমাদের বেশির ভাগ খেলা বিদেশের মাটিতে। শুরুতেই লক্ষ্য ছিল বিদেশের মাটিতে যেন ভালো খেলতি পারি। শ্রীলঙ্কায় প্রথম টেস্টে খারাপ করলেও পরের ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। যেটা অবিশ্বাস্য! এমন চাপে দল আগে খেলেছে কি না জানা নেই। সিনিয়র-জুনিয়র খেলোয়াড়েরা যা করেছে, তা বিরাট অর্জন। এটা দরকার ছিল। সবাইকে দেখিয়ে দেওয়া হলো বাংলাদেশ বাইরেও টেস্টে ভালো খেলে।’